Logo
Logo
×

বিএনপি

‘মেজর হাফিজকে সরকারি দলে যোগ দেওয়ার অজুহাত সৃষ্টি করা হচ্ছে’

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৭ পিএম

‘মেজর হাফিজকে সরকারি দলে যোগ দেওয়ার অজুহাত সৃষ্টি করা হচ্ছে’

‘পর্দার অন্তরালে সরকার চাপে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘আজকে ক্ষমতায় আছে একদলীয় সরকার। আর এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য কোথায় নামতে পারে তার প্রমাণ মঙ্গলবার হয়েছে। তারা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে একটা মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে। এর পেছনে পর্দার অন্তরালে সরকারের যে চাপ, বিভিন্ন রকম পরিস্থিতি তৈরি করে সরকারি দলে যোগ দেওয়ার একটা অজুহাত সৃষ্টি করা হচ্ছে।’

বুধবার রাজধানীর বনানীতে কারাবন্দি হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মেজর হাফিজকে কারাগারে পাঠানো প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, ‘আজকে এই সরকারের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অবক্ষয়ের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে মঙ্গলবার। আমি মনে করি, এই জাতির অবক্ষয় হয়েছে ওইদিনের ঘটনায়। দুঃখজনক, লজ্জাজনক এবং এর নিন্দা জানানোর কোনোরকম ভাষা আমাদের জানা নেই। শুধু এ কথাই বলতে পারি, সরকার আক্রোশ বা প্রতিহিংসার বসে এসব করছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে সন্ত্রাসের সেই জুজুর ভয় দেখিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে ভাঁওতাবাজি দিয়ে তাদের প্রতারিত করা যাবে, সেটা সম্ভব নয়। ৭ জানুয়ারি সেটা প্রমাণিত হয়েছে।’

মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশে শুধু রাজনীতি নয়- অর্থনীতি এবং সমাজব্যবস্থাসহ সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। বাংলাদেশে যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, পুলিশ প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, সংসদ এবং নির্বাচন কমিশনসহ সবকিছু এই প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। এ থেকে বের হওয়ার একটি মাত্র উপায়, সেটা হলো- আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।’

মেজর হাফিজের মামলা প্রসঙ্গে তার স্ত্রী দিলারা হাফিজ বলেন, ‘এটার একেবারেই ভিত্তি নেই। সাক্ষীদের কোনো পাত্তা নেই। আলামতও ছিল না। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমার স্বামীর এখন বয়স চলছে ৭৯ বছরের বেশি। বয়স্ক মানুষ। সম্প্রতি উনার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে আল­াহর কাছে শুকরিয়া মঙ্গলবার উনাকে পিজিতে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল) ভর্তির অনুমতি দিয়েছে।’ 

পরে সদ্য কারামুক্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে দেখতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় তার বাসায় যান আবদুল মঈন খান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম