Logo
Logo
×

বিএনপি

অ্যাম্বুলেন্সে কারাগারে গেলেন আমান, মেডিকেল সেবাসহ পাবেন ডিভিশন

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৯ পিএম

অ্যাম্বুলেন্সে কারাগারে গেলেন আমান, মেডিকেল সেবাসহ পাবেন ডিভিশন

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

হাইকোর্টের নির্দেশে রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আমান। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর আমানকে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর জন্য শুনানি করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। পাশাপাশি আমান সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক ডাকসুর ভিপি হওয়ায় জেলকোড অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির ডিভিশন দেওয়ার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল/বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে সুচিকিৎসা প্রদানের শুনানি করেন।  শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

আমানের আরেক আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান। জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। 

এর পর গত ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে গত ৭ আগস্ট বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে ২৮১ পৃষ্ঠার প্রকাশিত রায় প্রকাশ করেন। রায়ে বলা হয়েছে, রায়ের অনুলিপি পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে আমান দম্পতিকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।

ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছর ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে এ দম্পতি রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল আবেদন মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। 

হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে মামলাটির পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মে পুনঃশুনানি শেষ হয়। ৩০ মে হাইকোর্ট এ মামলায় আমানের ১৩ বছর ও সাবেরা আমানের তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম