চাঁদের আত্মীয়স্বজনদের ওপর ‘নির্দয় আচরণ’ শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৩, ১০:৩৫ পিএম
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের বক্তব্য মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘একটি বক্তব্যকে অজুহাত হিসেবে নিয়ে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ঘৃণ্য অপরাজনীতি ও জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। অথচ আওয়ামী নেতারা প্রায়শই বিএনপির নেতাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। চাঁদকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে এখন তার আত্মীয়স্বজনদের ওপরও নির্দয় আচরণ শুরু করেছে কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকার।’
ফখরুল বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে তার (আবু সাঈদ চাঁদ) মেয়ে জাকিয়া সুলতানা, জাকিয়া সুলতানার ৪ বছরের মেয়ে আরিশা, বড় বোনের মেয়ে মাসুদা আক্তার এবং ছোট মেয়ের জামাই শেখ সালাউদ্দিন আহম্মেদকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানির যে অমানবিকতা শুরু করেছে, তা নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই। ৪ বছরের অবুঝ শিশুসহ গ্রেফতার নারীদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চাঁদের অন্যান্য আত্মীয়স্বজন এবং আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে নারীদের মানসম্মান ভূলুণ্ঠিত ও শিশুদের ওপর পাশবিক নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। অপরাধ না করেও নারী-পুরুষদের অপরাধী বানিয়ে কারান্তরীণ করা হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে- আমরা একটি স্বাধীন দেশের মানুষ নই, বাংলাদেশকে যেন এক আদিম ও বর্বর যুগে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশবাসীর কাছে আমাদের প্রশ্ন- অবুঝ শিশু সন্তানসহ গ্রেফতার নারীদের অপরাধ কী? আসলে নানাবিধ অপকর্মের মাধ্যমে জনগণকে ভীত-সন্ত্রস্ত রেখে রাষ্ট্রক্ষমতার মসনদ চিরস্থায়ী করাই বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর একমাত্র লক্ষ্য। তবে আওয়ামী অবৈধ সরকার যতই ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশল করুক না কেন জনগণের রোষানল থেকে রেহাই পাবে না।’
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে ‘আবু সাঈদ চাঁদে মেয়ে জাকিয়া সুলতানা ও তার ৪ বছরের সন্তান, বড় বোনের মেয়ে মাসুদা আক্তার এবং ছোট মেয়ের জামাই শেখ সালাউদ্দিন আহম্মেদের’ নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকার এখন নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে এখন বেসামাল হয়ে উঠেছে। তাই অবৈধ শাসকগোষ্ঠী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নানা কায়দায় জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে তাদের ভীত-সন্ত্রস্ত করার কৌশল অবলম্বন করেছে। কিন্তু কোনো নিষ্ঠুর নিপীড়ন-নির্যাতনেও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দমন করতে না পেরে রাষ্ট্রশক্তির যথেচ্ছ অপব্যবহার অব্যাহত রেখেছে। বানোয়াট ও মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার, বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের পর গায়েবি মামলায় নাম দিয়ে জুলুমের এক পৈশাচিক বৃত্ত রচনা করা হয়েছে।’