কাল সারা দেশে বড় শোডাউনের প্রস্তুতি বিএনপির, নেতারা কে কোথায় থাকবেন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪২ পিএম
সারা দেশের জেলা ও মহানগরে শনিবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। ‘বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা’ বাস্তবায়নের দাবিতে দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত একযোগে হবে এ কর্মসূচি। এতে বড় শোডাউনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রধান করে গঠন করা হয়েছে সমন্বয় টিম।
এ ছাড়া যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দল ও জোটও শনিবার রাজধানীতে এ কর্মসূচি পালন করবে। আগামী ৮ এপ্রিল পরবর্তী কর্মসূচি সব মহানগরের থানা ও জেলার উপজেলা পর্যায়ে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অবস্থান। যা আগেই ঘোষণা করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা গেছে, শনিবার ৭৯ সাংগঠনিক জেলায় (মহানগর ও জেলা) অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যৌথভাবে কর্মসূচি করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। এতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাসসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
৭৯ সাংগঠনিক জেলার কর্মসূচিতেই কেন্দ্রীয় নেতারা থাকবেন। এরমধ্যে মানিকগঞ্জের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন ড. আব্দুল মঈন খান, ঢাকা জেলায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নারায়ণগঞ্জ জেলায় অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলায় জয়নুল আবেদিন ফারুক, কুমিল্লা উত্তরে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, কিশোরগঞ্জ জেলায় শরিফুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগরে বরকত উলাহ বুলু, নোয়াখালী জেলায় মো. শাহজাহান।
লক্ষ্মীপুরে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বরিশাল মহানগরে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ভোলায় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বরিশাল উত্তর জেলায় এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরিশাল দক্ষিণ জেলায় মজিবুর রহমান সরোয়ার, পটুয়াখালীতে এবিএম মোশাররফ হোসেন, রাজশাহী মহানগরে মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী জেলায় হারুন-অর-রশিদ, নাটোরে অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুু।
সিরাজগঞ্জ জেলায় আমিরুল ইসলাম খান আলীম, রংপুর মহানগরে আব্দুল খালেক, গাইবান্ধায় অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, ফরিদপুর জেলায় শামা ওবায়েদ, শরীয়তপুরে খোন্দকার মাশুকুর রহমান, ফরিদপুর মহানগরে সেলিমুজ্জামান সেলিম, মাদারীপুরে আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, খুলনা মহানগরে অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, যশোরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
বাগেরহাটে অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, খুলনা জেলায় আজিজুল বারী হেলাল, সিলেট মহানগরে অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সুনামগঞ্জে খন্দকার আবদুল মোক্তাদির, মৌলভীবাজারে আরিফুল হক চৌধুরী।
কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সব নেতারা নিজ নিজ জেলার কর্মসূচিতে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করবেন। আর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা কর্মসূচি সমন্বয় করবেন।
অন্যান্য জোট, দল ও সংগঠন: এ ছাড়া ১২ দলীয় জোট রাজধানীর বিজয় নগর পানির ট্যাংকের সামনে, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট আলাদাভাবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এবং গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য পল্টন মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি করবে। এসব কর্মসূচি শুরু হবে সকাল ১১টায়। বিকাল ৩টায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি পান্থপথে দলের কার্যালয়ের সামনে এবং বিকাল ৪টায় গণফোরাম ও পিপলস পার্টি’ আরামবাগে গণফোরাম চত্বরে দুই ঘণ্টা গণঅবস্থান কর্মসূচি করবে। গণসংহতি আন্দোলন সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ সরকারের দমনপীড়নের’ প্রতিবাদে সমাবেশ করবে।
গণঅধিকার পরিষদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘তারা গণমাধ্যমে স্বাধীনতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, র্যাবের হেফাজতে নওগাঁয়ের সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে।’
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদিন তাদের কোনো কর্মসূচি নেই। রোববার বিএনপির সঙ্গে তাদের সংলাপ আছে। সোমবার তারা বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে।