মানুষ যেভাবে চায় সেভাবে সংবিধান লিখতে হবে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য সংবিধান। মানুষের প্রয়োজনে স্বাধীনতার পর থেকে ৫০ বছরে বাংলাদেশের সংবিধান বারবার লিখিত হয়েছে এবং তা হতে থাকবে। মানুষের প্রয়োজনে যেভাবে সংবিধান তৈরি করতে হয়, ঠিক সেভাবে করতে হবে।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের অনিবার্যতা’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে ‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’।
মঈন খান বলেন, ‘১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ দাবি করেছিল। সঙ্গে ছিল জামায়াত। তখন জামায়াত জোরদার দল ছিল, এখন ততটা নাই। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১৯৯৬ সালে হালাল ছিল, আজ তা কেন হারাম হয়ে গেল?’
তিনি বলেন, জনগণের দাবির মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া জনগণের নেত্রী। তিনি পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেননি। তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন সামনের দরজা দিয়ে। ৮ বছর রাজপথে রাজনীতি করে এসেছিলেন।’
মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ উপলব্ধি করেছে, দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে ভালোবাসে। হুমকি দিয়ে, মানুষ হত্যা করে, মানুষ গুম করে ক্ষমতায় থাকা যেতে পারে, কিন্তু মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। তারা ১৪-১৫ বছর ক্ষমতায় আছে। আরও কতদিন ক্ষমতায় থাকবে তা জানি না। কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাস আপনারা অবলোকন করুন। কোনো স্বৈরাচার সরকার চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।’
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ঢালি আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাম্মি আক্তার, বিলকিস জাহান শিরিন প্রমুখ।