দাবি না মানলে রাজপথেই ফয়সালা: খন্দকার মোশাররফ
যুগান্তর প্রতিবেদন, উত্তরা
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:৪৭ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিদেশের কাছে বলে- আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে। বিএনপিসহ যারা যুগপৎ আন্দোলনে আছে আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, এই শেখ হাসিনার অধীনে এদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, নিরপেক্ষ হয়নি এবং আগামীতেও হবে না। তাই শেখ হাসিনার অধীনে কেউ নির্বাচনে যাবে না। এ দেশের জনগণও নির্বাচন হতে দেবে না।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর জসিমউদ্দিন মোড়ে পদযাত্রাপূর্ব এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে জসিমউদ্দিন মোড় থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে রবীন্দ্র সরণি, ময়লার মোড় হয়ে জমজম টাওয়ারের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এ পদযাত্রা বিএনপির উদ্যোগে হলেও দাবিগুলো হচ্ছে এদেশের জনগণের। এদেশের মানুষ আজ দ্রব্য্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দিশেহারা। বিদ্যুৎ-পানির বিল দিতে পারে না। গ্যাসের বিল দেয়, কিন্তু গ্যাস থাকে না। এভাবে দেশের মানুষ আজ মানবেতর জীবনযাপন করছে।
তিনি বলেন, বিএনপির সব কর্মসূচি জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে সফল করেছে। কোনো বাধাই তাদের আটকাতে পারেনি। তাই আজকে এ সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আমরা যখনই কর্মসূচি ঘোষণা করি, তখনই আওয়ামী লীগ শান্তির নামে ওই দিনই সমাবেশ করে। যদি তারা সত্যিকার অর্থে রাজনৈতিক কর্মসূচি করত, তাহলেও অন্যদিনও সমাবেশ করে দেখাতে পারত। যারা পাল্টা কর্মসূচি দেয়, বুঝতে হবে তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতা। তাদের জনগণের সমর্থন নেই, পায়ের নিচে মাটি নেই। রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কারণে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে রাস্তায় থাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের সমাবেশে মানুষ হয় না, জনগণ যায় না। কারণ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে জনগণ বারবার প্রতারিত হয়েছে। আর তারা প্রতারিত হতে চায় না।
ড. মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিতে থাকার জন্য গণতন্ত্র হত্যা করেছে। ভোটের অধিকার হত্যা করেছে। এটা আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। বিদেশি প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে এসে সরকারকে ছবক দিচ্ছে, ‘আগের মতো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। সত্যিকার অর্থে সুষ্ঠু ও অংগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে’।
ঢাকা মহারগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান শামীম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মুন্সি বজলুল বাছিত মঞ্জু, তাবিথ আউয়াল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের সাবেক নেতা এসএম জাহাঙ্গীর, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, মহানগরের এম কফিল উদ্দিন, আক্তার হোসেন প্রমুখ।