‘গায়েবি মামলাকে’ হাতিয়ার করে চলছে দমন-পীড়ন, অভিযোগ বিএনপির
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:৪২ পিএম
ইউনিয়ন পদযাত্রার চার দিন পার হলেও ‘গায়েবি মামলার মিছিল থামছেই না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি অভিযোগ করেন, ‘গায়েবি মামলাকে হাতিয়ার করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর চলছে নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন ও হয়রানির তাণ্ডব।’
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দায়েরের ঘটনা জ্যামিতিক হারে ঘটেই চলেছে। শহর থেকে গ্রাম- নিরীহ সাধারণ মানুষকে জড়িয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে বিরত রাখার জন্য ভীত সন্ত্রস্ত রাখা হচ্ছে। তবে আওয়ামী অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর এই ভোঁতা কৌশলে সাধারণ মানুষসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে পিছপা হবে না। দমন-নিপীড়নের সত্য ঘটনাকে গণবিচ্ছিন্ন সরকারের মন্ত্রী-নেতারা যতই গল্প হিসেবে অভিহিত করুন না কেন শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের অসত্য বয়ানে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। জনগণ এখন ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে।’
প্রিন্স বলেন, ‘জনতার এই জাগরণ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীরা জেনে বুঝেও নিজেদের বাঁচাতে মরণকামড় দেওয়া শুরু করেছে। তবে সময় খুবই সন্নিকটে যখন জাগ্রত মানুষের মরণছোবলে সরকারের ক্ষমতার অবৈধ মসনদ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী নেতা-মন্ত্রীরা কথায় কথায় সংবিধানের কথা বললেও তারা নিজেরাই তা লঙ্ঘন করছেন। গণতন্ত্র, নির্বাচন ও রাজনীতিকে নিজেদের মতো করে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসনের বেড়াজালে দেশবাসীকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। বাংলাদেশের গৌরবোজ্জল গণতান্ত্রিক চরিত্র আওয়ামী সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে, কর্তৃত্ববাদী শাসন, দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনে দেশ আজ ক্ষতবিক্ষত। আর যে কারণে অনেক অনুনয়-বিনয়ের পরেও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় গণতন্ত্র সম্মেলনেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জার।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।