খেলাপি ঋণের হিসাব আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে ৩ বছর সময়

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩০ পিএম

প্রতীকী ছবি
খেলাপি ঋণ ও প্রভিশন রাখার বিধিবিধান আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তিন বছর সময় বেঁধে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের পদ্ধতি বাস্তবায়ন করে ২০২৮ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। এছাড়া ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা বাড়াতে ব্যাংকগুলোর হিসাব পদ্ধতি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এ প্রক্রিয়া চলতি বছর থেকেই শুরু করতে হবে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, ব্যাংক খাতে হিসাব পদ্ধতিতে জটিলতা থাকায় লুটপাট করতে সহজ হয়েছে। এ খাতে অনিয়ম প্রতিরোধে হিসাব পদ্ধতি উন্নয়ন করা দরকার। এ কারণেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সূচকের মান আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করতে প্রধান নির্বাহীর কর্মকর্তার নেতেৃত্বে আগামী মার্চের মধ্যে একটি বাস্তবায়ন টিম গঠন করতে হবে। একই সময়ের মধ্যে সব খাতের সব ধরনের ব্যবস্থাপনার মান আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে বাস্তবায়নের সময় সুনির্দিষ্ট করে তা পর্ষদের অনুমোদন করতে হবে। এর আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে ১৫ এপ্রিল থেকে।
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মাসিক ভিত্তিতে ঋণগ্রহীতাদের তথ্য (যেমন: খাতভিত্তিক, ঋণগ্রহীতাভিত্তিক এবং ঋণ প্রকৃতিভিত্তিক শ্রেণিবিভাগ, খেলাপির শতাংশ, মন্দ ঋণ আদায়ের হার, বিভিন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক উপকরণগুলোর অবস্থা প্রভৃতি) সংগ্রহ করে একটি তথ্যভান্ডার তৈরি করতে হবে। যাতে গ্রাহকের ঋণের সার্বিক পরিস্থিতি অনুধাবন করা যায়। জুনের মধ্যে এ কাঠামো তৈরি করতে হবে। এর আলোকে ১৫ জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
ঋণের নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটি প্রাক-মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। এতে ঋণ শ্রেণিবিভাগ এবং প্রভিশনিং সম্পর্কেও একটি প্রাক-মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। বিদ্যমান নিয়মকানুন অনুযায়ী এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা করতে হবে। এতে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ এবং ঋণ হিসাব আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এটি বাস্তবায়ন করতে হবে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে। এর আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে ১৫ অক্টোবর থেকে।
নতুন নীতিমালার ভিত্তিতে ঋণ শ্রেণিবিভাগের ওপর ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে ডিসেম্বরের মধ্যে। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে এর আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খেলাপি ঋণ শ্রেণিকরণে ও প্রভিশনের হার বিষয়ে নীতিমালা জারি করা হবে ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে।