Logo
Logo
×

ব্যাংক

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তালিকা সিআইবিতে পাঠানোর নির্দেশ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ মে ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তালিকা সিআইবিতে পাঠানোর নির্দেশ

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তালিকা তৈরি করে ১ জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) পাঠানোর জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনো গ্রাহক ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই গ্রাহকের সমুদয় তথ্য বাল্ক আকারে সিআইবির ওয়েব পেজে আপলোড করতে হবে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর (আইন পরিবর্তন করে নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ফাইন্যান্স কোম্পানি করা হয়েছে) প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ নির্দেশনা ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন করতে হবে। 

বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ এর প্রদত্ত ক্ষমতা বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই নির্দেশনা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোকে যেসব নির্দেশনা দেয় সেগুলোর বেশিরভাগই ব্যাংক কোম্পানি আইন ও ফাইন্যান্স কোম্পানি আইনের ক্ষমতা বলে। মুদ্রানীতি ও সিআইবি থেকে নির্দেশনার বেশ কিছু দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার অনুযায়ী। ওই অর্ডারে বাংলাদেশ ব্যাংককে আর্থিক খাত তদারকির বিষয়ে বিশেষ কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। 

সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো ৩০ জুন ভিত্তিক খেলাপি ঋণের তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষণ করে তাদের ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে থেকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি শনাক্ত করবে। এ ক্ষেত্রে ইতঃপূর্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করবে। নির্দেশনা অনুসারে কোনো গ্রাহককে ইচ্ছাকৃত খেলাপি শনাক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের সমুদয় তথ্য বাল্ক আকারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিআইবির ওয়েব পেজে আপলোড করতে হবে। ওই পেজ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংগ্রহ করে নিজদের মতো করে কাজ করবে। এ লক্ষ্যে সিআইবি থেকে একটি ফরমও সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ওই ফরমেট অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের সমুদয় তথ্য পাঠাতে হবে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি শনাক্ত করতে ১২ মার্চ একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠায়, একই সার্কুলার ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোতে পাঠায় ৩ এপ্রিল। এতে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি শনাক্ত করার একটি প্রক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। ৩০ জুন ভিত্তিক খেলাপি ঋণের তথ্য বিশ্লেষণ করে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি চিহ্নিত করবে। 

সার্কুলার অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা বিমান ভ্রমণ করতে পারবেন না। বাড়ি, গাড়ি, জমি কিনে সেগুলো নিবন্ধন করতে পারবেন না। একই সঙ্গে তারা কোনো রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাবেন না। খেলাপি শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর পরিচালক পদ শূন্য হয়ে যাবে। খেলাপি দায় থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হওয়ার পর থেকে পরবর্তী ৫ বছর তিনি কোনো ব্যাংক বা ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক হতে পারবেন না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক অপর এক সার্কুলারের মাধ্যমে ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর নিরীক্ষা কমিটিকে কোম্পানির বিভিন্ন খাতে কর্মী নিয়োগ ও তাদের বেতন ভাতা নির্ধারণের কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে। ওই কমিটি ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক, স্বতন্ত্র পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও এর নিচের দু’স্তর পর্যন্ত কর্মকর্তাদের নিযুক্তি বা নিয়োগ, দায়িত্ব-কর্তব্য, সম্মানী, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বেতন-ভাতা, উৎসাহ বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা কেন্দ্রীয় ব্যাংকর নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারণ করবে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম