ঋণখেলাপি স্বতন্ত্র পরিচালক হতে পারবেন না
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৪, ১০:৫১ পিএম
জাল-জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত, ঋণখেলাপি, করখেলাপি এমনকি ধারের টাকা পরিশোধ করেননি এমন কোনো ব্যক্তি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বতন্ত্র পরিচালক হতে পারবেন না। এছাড়া অব্যাহতির ৫ বছর না হওয়া পর্যন্ত ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক হতে পারবেন না।
একই সঙ্গে ফৌজদারি কোনো অপরাধে দণ্ডিত কিংবা আর্থিক অপরাধ বা অন্য কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে এ পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
বুধবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে আরও বলা হয়, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (এনবিএফআই) দুজন স্বতন্ত্র পরিচালকসহ সর্বোচ্চ ১৫ জন পরিচালক থাকতে পারবেন। স্বতন্ত্র পরিচালকদের স্নাতক ডিগ্রিধারী, ন্যূনতম ১০ বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা, ন্যূনতম বয়স ৪৫ এবং সর্বোচ্চ বয়স ৭৫ বছর হতে হবে। সক্ষমতা বিবেচনায় মাসে সম্মানি হবে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা। কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বার্থ কিংবা দৃশ্যমান স্বার্থের বিষয়ে জড়িত কোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্র পরিচালক হতে পারবেন না।
স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে সরকারি বা বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ বা ব্যবসায় প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা, আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষক, আইন পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তি, হিসাব পেশায় নিয়োজিত হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে প্রফেশনাল ডিগ্রিধারী ব্যক্তি, অভিজ্ঞ ব্যাংকার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অর্থ বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা যাবে।
কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানি বা ফাইন্যান্স কোম্পানি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কোনো প্রকৃত স্বার্থ কিংবা দৃশ্যমান স্বার্থের বিষয়ে জড়িত কোনো ব্যক্তি ওই ফাইন্যান্স কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক হতে পারবেন না। একই সঙ্গে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে নিয়োগের জন্য মনোনীত ব্যক্তির পরিবারের কোনো সদস্য সংশ্লিষ্ট ফাইন্যান্স কোম্পানির শেয়ার ধারণ করতে পারবেন না এবং ওই কোম্পানির কোনো লাভজনক পদে থাকতে পারবেন না।
এছাড়া মনোনীত ব্যক্তি ব্যাংক-কোম্পানি, বিমা কোম্পানি বা ওই ধরনের কোম্পানির কোনো সাবসিডিয়ারি কোম্পানির পক্ষে পরিচালক থাকতে পারবেন না।
স্বতন্ত্র পরিচালকদের নিজস্ব সক্ষমতা বিবেচনায় প্রতি মাসে স্থায়ী সম্মানি বাবদ সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা (প্রযোজ্য কর কর্তন সাপেক্ষে) প্রাপ্য হবেন। পর্ষদ বা সহায়ক কমিটির প্রতিটি সভায় উপস্থিত থাকলে সম্মানি হিসাবে পাবেন ১০ হাজার টাকা।
ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ বা অন্য কোনো আইন বা বিধি, পরিচালনা পর্ষদ লঙ্ঘন বিষয়ক যে কোনো তথ্য তাকে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে। স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্য থেকে ন্যূনতম একজন পরিচালক পর্ষদের নির্বাহী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন এবং আমানতকারী ও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের (পরিচালক ব্যতীত) স্বার্থ সংরক্ষণে সচেষ্ট থাকবেন। নতুন এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।