ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক কিছুদিন আগে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে। এই ব্যাংকের কোনো শাখা, উপশাখা, এটিএম বুথ বা কোনো স্থাপনা থাকবে না।
মোবাইল ফোন অথবা ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করেই গ্রাহকদের ব্যাংকসেবা দেওয়া হবে।
গত ৩০ জুলাই ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের জন্য আবেদন করার সময় বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই দিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আগামী ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন করা যাবে।
সে অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ ছিল। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের খোলা ওয়েবপোর্টালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়।
প্রথমবারের মতো চালু হতে যাওয়া ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ৫২টি আবেদন জমা পড়েছে।
রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক। তিনি বলেন, ‘দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে আজ সার্ভারের লক খোলা হয়। দেখা যায়, যৌথ ও এককভাবে মোট ৫২টি আবেদন জমা পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে একসঙ্গে এত বেশি আবেদন আর কখনো জমা পড়েনি।
জানা যায়, আবেদনকারীদের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিমা প্রতিষ্ঠান, মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আছে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর, তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী উদ্যোগ, এমনকি ওষুধ কোম্পানি ও ঢেউশিট উৎপাদনকারী কোম্পানিও।
বেসরকারি খাতের ১০টি ব্যাংক, রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ৪টি ব্যাংক, নগদ, বিকাশ, বাংলালিংক ও পাঠাওসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। সম্প্রতি দেশে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদনও আহ্বান করা হয়। নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে আনা ও লেনদেন আরও সহজ করতে সরকারের ‘ক্যাশলেস সোসাইটি’ গড়ার উদ্যোগে ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বেশ কয়েক বছরের প্রস্তুতি শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক লাইসেন্সের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু করে গত জুন থেকে। শুরুতে আবেদন করার শেষ সময় ছিল গত ১ আগস্ট। সেই সময়ের মধ্যে কোনো আবেদন জমা না পড়ায় পরে তা বাড়িয়ে ১৭ আগস্ট করা হয়।