‘জেতার গ্যারান্টি না দিলে কোনো নির্বাচনই বিএনপির কাছে সুষ্ঠু নয়’

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০৮:৩৮ পিএম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে একটা দল (বিএনপি) আছে। এই দলটি নির্বাচনে যাওয়ার জন্য এমন একটা নির্বাচন কমিশন চায়, যে কমিশন তাদের নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি দিবে। নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি না দিলে কোনো নির্বাচনই তাদের কাছে নিরপেক্ষ নয়, সুষ্ঠু নয়। সব নির্বাচনই হচ্ছে অগণতান্ত্রিক। যেহেতু তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি, বয়কট করেছে, আন্দোলন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে, সেজন্যই এই নির্বাচন ব্যবস্থা খারাপ।
রোববার রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আসবেন। তার আসার একটা বিষয় আছে, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তিনি আসবেন, সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। বিএনপি হয়তো মনে করেছে নতুন করে আবার নিষেধাজ্ঞা দেয় কি না। এ ধরনের উদ্ভট চিন্তা তাদের থাকতে পারে। তারা (বিএনপি) জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব খাদ্য নিরাপত্তার কথা বলেছেন। আমি জানতে চাই- তাদের সময় দেশের মানুষকে অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে হতো কেন? অথচ ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে খাদ্য শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করেনি, বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশকে আবারো খাদ্য ঘাটতির দিকে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অর্জনে বিশ্বের বিস্ময়। কিন্তু বিএনপি নেতারা কালো চশমা পরে আছেন। তারা কালো চশমা পরে উন্নয়ন দেখতে পান না এবং অবিরাম মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অদৃশ্য শক্তি দ্বারা সরকার পরিচালনা তো বিএনপির আদর্শিক চরিত্র। বিএনপির সময় দৃশ্য অপশক্তি সরকার পরিচালনা করত। দুর্নীতির বরপত্র তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাওয়া ভবন ছিল সরকারের সমান্তরাল অপরাজনীতির বিকল্প শক্তি। হাওয়া ভবনের গডফাদার তারেকের অনুমোদন ছাড়া কিছুই হতো না। এই হাওয়া ভবন থেকেই মাস্টারপ্ল্যান করে গ্রেনেড হামলা করা হয়। তাদের প্রাইম টার্গেট ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুদক্ষ, সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন। আর বিএনপির কথামালার চাতুরী ও লিফ সার্ভিস ছাড়া দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারনি। এ কারণে তারা দুর্বল হয়ে গেছে, তাদের নেতাদের শক্তি কমে এসেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে নির্বাচনের পর দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে এবং নেতাকর্মীদের তিনি এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেন। শেখ হাসিনা তো বলেননি নির্বাচন হলেই সংকট কেটে যাবে। তিনি বলেছিলেন, দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হতে পারে। সেই চেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবে এবং দেশের অভ্যন্তরে করা হচ্ছে৷।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।