এবার ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ ইশতেহার দেবে আ.লীগ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১৪ পিএম
আওয়ামী লীগ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার নির্বাচনি ইশতেহার দিয়েছিল নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০০৮)। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪) দলটির ইশতেহার ছিল ‘শান্তি গণতন্ত্র উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ নামে আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ইশতেহার দেয় একাদশ জাতীয় নির্বাচনে (২০১৮)। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০২৩-২৪) আওয়ামী লীগ তাদের ইশতেহার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ঘোষণা দেবে।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত উপ-কমিটির একাধিক সদস্য জানান, অতীতের ইশতেহারগুলো সার্বিকভাবে পর্যালোচনা করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ নতুন ইশতেহারে কী কী এবং কীভাবে থাকবে সেই বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়। সে অনুযায়ী কমিটির সদস্যরা কাজ করবেন। পরবর্তী বৈঠকগুলোতে কাজের অগ্রগতি জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় খসড়া তুলে ধরা হবে। পুরো ইশতেহারের খসড়া তৈরি হলে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হবে, তিনি চূড়ান্ত করবেন।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের জনগণের জন্য শেখ হাসিনা আল্লাহর রহমতের দান। আমরা গত নির্বাচনে ইশতেহার করেছিলাম। ইশতেহার পড়ে কয়জন? বুলেট পয়েন্ট ইশতেহার করুন। কোনো দরকার নেই বিশাল একটা পুস্তক রচনার। মানুষের সময়ও নেই। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব সব জায়গায় আছে। আমাদের সময়ের সঙ্গে, বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চলতে হবে। সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। ক্ষমতায় থাকতে হলে এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে।
সভা শুরুর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিনে দোয়া মাহফিল ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা কেএম আব্দুল মমিন সিরাজী।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির প্রথম সভায় অংশ নেন দলটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং উপ-কমিটির সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদ, সদস্য ড. বজলুল হক খন্দকার, অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ড. শামসুল আলম, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, শেখর দত্ত, ড. মাকসুদ কামাল, ড. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক খায়রুল হোসেন, সাজ্জাদুল হাসান, তারানা হালিম, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জুনাইদ আহমেদ পলক, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।
এবারের নির্বাচনি ইশতেহারে কী থাকছে জানতে চাইলে দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জানান, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ইশতেহার দেওয়া হয়েছিল, যা ছিল অতীতের ইশতেহারগুলো থেকে একেবারেই ভিন্ন। তাতে খাতভিত্তিক ডিজিটালাইজেশনের রূপরেখা ছিল। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেওয়া ইশতেহার দুটিতে মূলত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নয়ন ও অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি খাতভিত্তিক আরও কী কী করা হবে, সেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সময়ের চাহিদা অনুযায়ী, এবার ডিজিটাল বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্যায় হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করা হবে। এতে সবক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের অগ্রগতি ও সুফল তুলে ধরার সঙ্গে স্মার্ট সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে। দলের জাতীয় সম্মেলন এবং ঘোষণাপত্রে সেই ধারণা দেওয়া হয়েছে। তবে কী কী থাকবে, তা উপ-কমিটির বৈঠকগুলোতে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাকে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে গুরুত্ব দেওয়া হবে। বৈশ্বিক সমস্যার কারণে কঠিন সময় পার করছি। তাই আগামীতে কৃষি, সেবা ও শিল্পখাতসহ বিভিন্ন খাতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।