বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের এত মাথাব্যথা কেন, প্রশ্ন কাদেরের
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৫০ পিএম
![বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের এত মাথাব্যথা কেন, প্রশ্ন কাদেরের](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/08/20/image-708892-1692535809.jpg)
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চলতি বছর বিশ্বের ২০-২২টি দেশে নির্বাচন হবে। এ নিয়ে বড় বড় দেশের কোনো কথা নেই। কিন্তু বাংলাদেশকে নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন?
রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ এ মুহূর্তে ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিনায় নির্বাচন হচ্ছে। এ বছর ২০-২২টি দেশে নির্বাচন হচ্ছে। কোথাও কারো কোনো কথা নেই। শুধু বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বের বড় দেশগুলোর মাথাব্যথা। কারণটা কী?’
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের ইলেকশন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন বিভিন্ন দেশের এ অঞ্চলকে ঘিরে ভূরাজনৈতিক কৌশল আছে। সেখানে আমেরিকার একটা স্বার্থ আছে, ভারতেরও আছে। থাকাটা খুব স্বাভাবিক। ওদিকে চীন আছে, একটা বড় শক্তি।’
বিএনপির মূল দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে বিদেশিদের কেউ কোনো কথা বলেননি জানিয়ে তিনি বলেন, ভারত আমেরিকাকে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতামত জানিয়েছে। আমাদের কখনো বলেনি, ‘তোমরা এই করো, সেই করো, তত্ত্বাবধায়ক করো’। তারপর নির্বাচন পদ্ধতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করুক- এসব কথা আমেরিকাও বলেনি। বিএনপির দাবি- তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত এবং নির্বাচন কমিশন বাতিল। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কেউই এগুলো বলেনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যেসব দাবিতে গোঁ ধরে আছে- সেসব দাবি নিয়ে আমেরিকার কোনো মাথাব্যথা নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ভারতও এ বিষয়ে কিছু বলেনি। আমি আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বলেছেন, এসব বিষয়ে তাদের কোনো কথাই নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়নও বলেনি যে- তত্ত্বাবধায়কের দরকার আছে। তাদের দেশে এটি নেই, দুনিয়ার কোথাও নেই।’
‘কেন বাংলাদেশে, বাংলাদেশে কেন? আসল জায়গায় পারে না। নাইজারে কী করে আমরা দেখব। নাইজারের জান্তাপ্রধান বলে দিয়েছেন, আগামী তিন বছর এসব কথাবার্তা বলে লাভ নেই। তিন বছর পর দেখা যাবে। এখন আমরাও দেখব, আমাদের দেশ নিয়ে যারা এত কিছু করে এবং এত কথা বলে- তারা নাইজারে কী করে!’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মনে করি- একজন রাজনীতিবিদের জীবনে রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত জীবনে কোনো চ্যালেঞ্জ অনতিক্রম্য নয়। সব চ্যালেঞ্জই অতিক্রমযোগ্য। ইনশাআল্লাহ, আমরা অতিক্রম করব। জনগণের কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি- আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করব। নির্বাচন আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের সংবিধান আছে। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন, সড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরি, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ।