‘বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে ডাকা শান্তি সমাবেশ থেকে ৫ দফা ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ থেকে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু এ যৌথ ঘোষণা দেন।
পাঁচ দফাগুলো হলো- ১. ছাত্র-তরুণ-যুবসমাজকে সংগঠিত আগুণ সন্ত্রাস রুখব। ২. অপশক্তিদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজপথে রুখে দাঁড়াব। ৩. সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সোচ্চার থাকব। ৪. শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রাখব। ৫. মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বদা সোচ্চার থাকব।
শান্তি সমাবেশ সভাপতিত্ব করছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। সঞ্চালনা করছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান। এ সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ নেতারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খেলা হবে, খেলা হবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, ভুয়া এক দফার বিরুদ্ধে।
সমাবেশে তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না। যদি করেন, তাহলে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
আব্দুর রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য তৈরি করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সজাগ পাহারায় আছে। কোনো অপশক্তিকে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।
নেতাকর্মীদের সতর্ক করে কামরুল ইসলাম বলেন, আর কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নাই। বিএনপির আন্দোলনের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি দেশকে আবার পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। আমাদের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চায়।