নির্বাচনে ফয়সালা হবে দেশ সামনে যাবে নাকি পেছনে: মন্ত্রী

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৩, ০৯:৩৭ পিএম

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগামী নির্বাচনটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আগামী নির্বাচনে ফয়সালা হবে দেশ কি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এর ধারাবাহিকতা থাকবে নাকি পাকিস্তানের মতো পেছনের দিকে হাঁটবে। সেটিই ফয়সালা হবে। সুতরাং ঐক্য, সংহতি এবং সাংগঠনিক শক্তি, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রোববার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নীলফামারী জেলার সাংগঠনিক বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী করা এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমাদের হারানোর শক্তি কারও নেই। যেখানে আওয়ামী লীগ হারবে, মনে করতে হবে সেখানে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেনি। নিজেরা নিজেদের বিরোধিতা করেছে।
সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কমিটি গঠনের পর তা দ্রুত পূর্ণাঙ্গ করতে এবং নিয়মিত বৈঠক ডাকারও পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ইদানীং একটা ট্রেন্ড চালু হয়েছে- কমিটি হয়; কিন্তু এক বছরেও পূর্ণাঙ্গ হয় না। সেজন্য গত সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্রে একটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে। কমিটি হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে, না হলে কমিটি বাতিল হবে। এটি সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, কমিটি হওয়ার পর কমিটর মিটিং হয় না। অথচ গঠনতন্ত্রে প্রতি দুই মাসে মিটিং ডাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেটিও অনেক সময় ডাকা হয় না। আবার বর্ধিত সভা করে সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিয়ে মিটিং করা উচিত। এতে দলের মধ্যে ঐক্য-সংহতি বাড়ে।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সংসদ-সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হকসহ জেলার শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।