মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে আসিয়ান সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করবে মালয়েশিয়া

আসিয়ানের সভাপতি হিসেবে মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ন্যায্যতার নীতি বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত পারস্পরিক শুল্ক ইস্যুতে একটি সম্মিলিত চুক্তিতে পৌঁছার জন্য ব্লকের বেশ কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করবে।

শুক্রবার প্রিমা সৌজানা মসজিদে জুমার নামাজের পর সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা বলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম।

এ বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে তিনি জানান, তিনি নিজেই থাইল্যান্ডের পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা এবং ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রাবোও সুবিয়ান্তোসহ তার প্রতিপক্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

আনোয়ার ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র এবং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং-এর সঙ্গে পারস্পরিক শুল্ক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো মালয়েশিয়ার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি যৌথ চুক্তি তৈরি করা। আসিয়ান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য লেনদেনে ন্যায্যতার নীতি প্রয়োগের দাবি করা।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত, যদিও হার বেশি, তবুও আমাদের কিছু প্রতিবেশী দেশের তুলনায় কম। তাই আমরা আমার প্রতিপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 

ইতোমধ্যে, ইন্দো-চীন অঞ্চলের আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলো এ শুল্কের দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে। কম্বোডিয়া প্রাথমিক এবং পারস্পরিক ৪৯ শতাংশ শুল্কের সম্মুখীন হয়েছে, তারপরে লাওস (৪৮ শতাংশ), ভিয়েতনাম (৪৬ শতাংশ) এবং মিয়ানমার (৪৪ শতাংশ), থাইল্যান্ড ৩৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ৩২ শতাংশ, ব্রুনাই ও মালয়েশিয়া ২৪ শতাংশ, ফিলিপাইন ১৭ শতাংশ এবং সিঙ্গাপুর ১০ শতাংশ বেসলাইন শুল্কের সম্মুখীন।