দক্ষিণ কোরিয়ায় অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ এনেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা। সামরিক আইন জারি করার মধ্য দিয়ে ইউন বিদ্রোহ করেছেন বলেই অভিযোগ তাদের। রোববার এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। কিন্তু তীব্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে মাত্র ৬ ঘণ্টার মাথায় তিনি তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন। স্বল্পস্থায়ী এই সামরিক আইন জারির জেরে ১৪ ডিসেম্বর ইউনকে দেশটির পার্লামেন্টে অভিশংসন করা হয়। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গত সপ্তাহে তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন। ইউনকে গ্রেফতারে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টা প্রাথমিকভাবে রুখে দেন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর (প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস-পিএসএস) সদস্যরা। পরে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। যদিও ইউন দাবি করেছেন, তিনি কোনো ভুল করেননি।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে একবার ইউনকে গ্রেফতারের জন্য তার বাড়িতে কয়েক ঘণ্টার অভিযান চালান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তবে তার নিরাপত্তা বাহিনীর বাধায় সেই অভিযান ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে ইউনের আজীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তবে গত কয়েক দশকে দেশটিতে কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি। সবাইকে হতবাক করে দিয়ে গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। কিন্তু তীব্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে মাত্র ৬ ঘণ্টার মাথায় তিনি তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন।