কারাবন্দি সু চিকে আশ্রয় দিতে চান পোপ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
মিয়ানমারের কারাবন্দি নেতা অং সান সু চিকে ভ্যাটিকানে আশ্রয় দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। ইতালির সংবাদমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আরব নিউজ।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। ওই দিনই সু চিকে বন্দি করা হয়। সুচির বর্তমান বয়স ৭৮ বছর। অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন মামলায় তাকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ বছর ফেব্রুয়ারিতে সু চির ছেলে কিম আরিস বলেছিলেন, তার মাকে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে। তার স্বাস্থ্যও ভেঙে পড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সু চি ছেলের সঙ্গে ইতালির রুমে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন পোপ। এছাড়া চলতি মাসের শুরুতে এশিয়া সফরের সময় রোমান ক্যাথলিক ধর্মীয় দল সোসাইটি অব জেসুস বা জেসুইটসের সাথে বৈঠকে বসেন পোপ। সেখানে সূ চির স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জেসুইটদের সঙ্গে বৈঠকে পোপ বলেন, ‘আমি অং সান সু চির মুক্তির আহ্বান জানিয়েছি। আমি তার ছেলের সঙ্গে রোমে দেখা করেছি। আমি ভ্যাটিকানকে প্রস্তাব দিয়েছি, সু চিকে যেন আমাদের ভূখণ্ডে আশ্রয় দেওয়া হয়।’
বৈঠকে পোপ বলেন, ‘মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমাদের কিছু করা উচিত।’
‘মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ হওয়া উচিত শান্তিপূর্ণ। সেখানে সবার মর্যাদা ও অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে হবে এবং এমন একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে, যাতে সবাই দেশের উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষ্যে অবদান রাখতে পারে’।
জাতিসংঘ, মানবাধিবার সংগঠন এবং মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেতারা বারবার সু চিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এসব অনুরোধে কর্ণপাত করছে না মিয়ামার সামরিক সরকার।
১৯৮৯ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে প্রায় ১৫ বছর গৃহবন্দি ছিলেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সু চি। তার মুক্তির মাধ্যমে ২০১০ সালে মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরে। ২০১৫ সালে সূ চির দল ‘ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি’ ২৫ বছরের মধ্যে মিয়ানমারের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়লাভ করে কিন্তু ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থামাতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আন্তর্জাতিক পরিসরে নিন্দার মুখে পড়েন সূ চি।