থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি থাকসিন সিনাওয়াত্রা শিগগির মুক্তি পাবেন। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানান দেশটির বিচারমন্ত্রী তাওই সসং। বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। সম্ভব হলে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই তিনি মুক্তি পেতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘প্রায় ৯৩০ জন কারাবন্দির সাজা মওকুফ করা হবে। থাকসিন সিনাওয়াত্রাও সেই তালিকায় আছেন। মূলত যারা খুবই সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন বা যাদের বয়স ৭০ বছরের ওপরে, তাদেরই মুক্তি দেওয়া হবে। ছয় মাস পর স্বাভাবিকভাবেই তিনি মুক্তি পেতেন।’
মুক্তির সুখবর পাওয়ার সপ্তাহখানেক আগেই থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে অভিযুক্ত করে পুলিশ। প্রায় এক দশক আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে ওই মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানের সময় একটি সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন থাকসিন।
এর আগে গত বছরের ২২ আগস্ট সিঙ্গাপুরে ১৫ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে ব্যক্তিগত বিমানে করে থাইল্যান্ডের ডন মুয়াং বিমানবন্দরে অবতরণ করেন থাকসিন। পরে বিমানবন্দর থেকে আগের দণ্ডাদেশ থাকায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়। কারাগারে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই থাকসিনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
টেলিকম ব্যবসায়ের মাধ্যমে দেশটির শীর্ষ ধনকুবের বনে যান থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ২০০১ সালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। পরে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০০৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ক্ষমতাচ্যুত হন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তিনি দেশের বাইরে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন।
অবশ্য মাঝে একবার ২০০৮ সালে তিনি থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন।
এরই মধ্যে থাকসিনের অনুপস্থিতিতেই সুপ্রিমকোর্ট তাকে চারটি মামলায় ১২ বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে আদালতের রায়ের ওপর থাইল্যান্ডের রাজা থাকসিনের দণ্ড অর্ধেক করে দেন।
এএফপি