কিডনি অকেজো চয়ন দাসের পাশে যুগান্তর স্বজন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
দুইটি কিডনি অকেজো হয়ে যাওয়া চয়ন দাসের পাশে দাড়িয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের গাজীপুর মহানগর পূবাইল শাখার স্বজনরা। সত্যের সন্ধানে নির্ভীক গণমাধ্যম যুগান্তর। সাংবাদিকতার পাশাপাশি মানবিক কাজও করে যাচ্ছে সারাদেশ জুড়ে।
এর ধারাবাহিকতায় এবার যুগান্তর স্বজন খোঁজ নিচ্ছেন চয়নের পরিবারের।
চয়ন গাজীপুর মহানগরীর ৪১ নং ওয়ার্ডের পূবাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর
ছাত্র। জটিল রোগে আক্রান্ত আদরের ছেলে চয়নকে বাঁচিয়ে রাখতে তার পরিবার গত দুই বছর ধরে
ঘুরছে মানুষের দ্বারে দ্বারে। দেশের মধ্যে দেখিয়েছেন অনেক চিকিৎসক। উন্নত চিকিৎসার
জন্য ডাক্তার চয়নকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে বলেছেন।
পূবাইল উজিরপুরা গ্রামের চয়নের বাবা প্রদীপ দাস স্বল্প বেতনে মাছের আড়তে
চাকরি করেন। তার আয়ের টাকায় ভালোভাবে সংসার চলে না। ছেলের চিকিৎসা হয়ে উঠেছে দুঃস্বপ্ন।
এমন সময় স্থানীয় পূবাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলমগীর
হোসেনের মাধ্যমে যুগান্তর পূবাইল শাখার স্বজনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহেদ সরকার রাকিব
জানতে পারেন চয়নের বিষয়টি এবং তাৎক্ষণিক পরিবারকে কিছু অর্থ প্রদান করেন। তারপর বিভিন্ন
মাধ্যমে ফান্ড কালেক্ট করেন চয়নে চিকিৎসার জন্য।
বৃহস্পতিবার যুগান্তর স্বজনের কালেক্ট করা অর্থের প্রায় এক লক্ষ টাকা
চয়নের মায়ের হাতে তুলে দেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ কায়সার
খসরু।
প্রশাসক বলেন, এটি অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ। আমাদের সকলের উচিৎ এমন
মানবিক কাজে এগিয়ে আসা।
অর্থ হাতে পেয়ে চয়নের মা জানান, চিকিৎসার জন্য আরও অনেক টাকার প্রয়োজন।
প্রাথমিকভাবে আমি এই অর্থ দিয়ে পাশের দেশ ইন্ডিয়াতে নিয়ে আমার ছেলের চিকিৎসা করানোর
প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পূবাইল স্বজনের প্রধান উপদেষ্টা দৈনিক যুগান্তরের
গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি আখতার হোসেন, স্বজনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক
সম্পাদক সাহেদ সরকার রাকিব, প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস মিয়া, সদস্য লিয়ন সরকার, ফারদিন,
ওসমান, ইমন।
আরও উপস্থিত ছিলেন পূবাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক
আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট শামিম মৃধা, ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন প্রমুখ।