সরকারি-বেসরকারি স্কুল
৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি শেষ করতে হবে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৩ এএম
সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ১ম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির সব কার্যক্রম ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এর মধ্যে লটারির তালিকায় সরাসরি নাম আসা শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম বুধবার থেকে ছয় কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এরপর ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শেষ করতে হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোর প্রধানদের পাঠানো হয়েছে।
অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচিত তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ১ম অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম ক্রমানুসারে তিন কর্মদিবসের মধ্যে শেষ করতে হবে।
১ম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ২ কর্মদিবসের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। তবে আবশ্যিকভাবে ভর্তির সব কার্যক্রম ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি গ্রহণের সময় উল্লিখিত বিষয়গুলো অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। সেগুলো হলো : ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা https://gsa.teletalk.com.bd লিংকে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ডাউনলোড অপশনটি ক্লিক করার পর তার প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারীদের তালিকা পেয়ে যাবেন। ডিজিটাল লটারিতে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত, ১ম অপেক্ষমাণ ও ২য় অপেক্ষমাণ তালিকার শিক্ষার্থীদের আবেদন সংক্রান্ত তথ্য ওই লিংক থেকে যাচাই করতে পারবেন। লিংকে তথ্য টাইপ করে সাবমিট করলে আবেদনকারী কতবার আবেদন করেছেন, তা জানা যাবে।
কোনো আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে এবং নোটিশ বোর্ডে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত তালিকা এবং ১ম ও ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রদর্শন করবে। ভর্তিকালীন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে।
ভর্তির সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবশেষ জারি করা নীতিমালা অনুযায়ী কোটাসংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। নির্বাচিত তালিকার মধ্য থেকে কোটার শূন্য আসন পূরণ না হলে পর্যায়ক্রমে ১ম ও ২য় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে কোটার শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। এরপরও যদি পূরণ না হয়, সেক্ষেত্রে সাধারণ নির্বাচিতদের মধ্য থেকে তালিকার ক্রমানুসারে এই শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।