
প্রিন্ট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৪ এএম
মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টার বৈঠক
ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত স্থগিতের সম্ভাবনা নেই

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম

আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পালটা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা স্থগিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ ঘটনাকে হাইপারডাইনামিক স্টোরি বা অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কাহিনী বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ট্রাম্প প্রশাসনের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ইস্যু নিয়ে রোববার সকালে ঢাকার গুলশানে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে তার বাসভবনে অনুষ্ঠিত ‘ব্রেকফাস্ট অন ট্রেড ব্যারিয়ার্স’ বৈঠক করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। ওই বৈঠক শেষে সচিবালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি। বৈঠকে শিল্প উপদেষ্টা মো. আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার হাইরিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘ভালো হয়েছে। আমরা একটা ধারণা পেয়েছি যে আমাদের ধরনের অর্থনীতি যারা আছে, পালটা শুল্ক আরোপের কারণে তারা কী অনুসরণ করছে এবং আমরা কী পদক্ষেপ নিতে পারি।’
শুল্ক আরোপের কার্যকরের তারিখ যদি ৯ এপ্রিল হয়, তাহলে পেছানোর কোনো সুযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না। ৯ তারিখের কথাটাও বোঝার চেষ্টা করেছি যে স্থগিতাদেশের (সাসপেনশন) কোনো সম্ভাবনা বৈশ্বিকভাবে আছে কিনা। তাদের কথা হচ্ছে এ ধরনের কোনো সম্ভাবনা নেই।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ধারণা ঘুরে বেড়াচ্ছে যে ৯ তারিখে কোনো কোনো দেশের জন্য স্থগিতাদেশ আসবে। আমরা এ ধরনের কোনো ধারণা পাইনি। ব্যাপারটা হচ্ছে যে এটা একটা হাইপারডাইনামিক স্টোরি এবং বিশ্ব বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়েছে। দেখা যাক, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিওটিও) মহাপরিচালকও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
বৈঠকে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কিছু বলেছেন কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, তারা তো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলবে না। আলোচনা হয়েছে, কিছু দিকনির্দেশনা পেয়েছি। এর মধ্য থেকে আমরা কী প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হবো তা বোঝার চেষ্টা করেছি। অবশ্য গতকালই (শনিবার) বলার চেষ্টা করেছি যে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে মূল যোগাযোগের কাজটা করবেন। আর আমরা যারা দায়িত্বে নিয়োজিত আছি, তারা অপরপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাকি কাজটা করব।’
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পর্যায়ের যোগাযোগের পদ্ধতিগুলো কী, আকাঙ্ক্ষাগুলো কী, শুল্ক ও অশুল্ক বাধাগুলো কী এবং ব্যবসা করতে গিয়ে যেসব জায়গায় তাদের সমস্যা হচ্ছে, বৈঠক থেকে সেগুলো বোঝার চেষ্টা করেছি। আমাদের অর্থনীতির জন্য যেগুলো সহায়ক, সেগুলো তো আমরা করতেই চাই। তবে যেগুলো সহায়ক নয়, সেগুলো করা সম্ভব নয়–এ রকম একটা আলোচনা করেছি।’