আ.লীগের নেতা এমপি মন্ত্রীরা ৩ দিনে পালিয়েছেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
উত্তরা পূর্ব থানা (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রী-এমপি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।আগস্টের ৫, ৬ ও ৭ তারিখেই আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতারা, মন্ত্রী-এমপি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পালিয়ে গেছেন।এই তিন দিনে পালিয়েছেন।এখন পালানো খুব সহজ হবে না।আমার পুলিশ-বিজিবির পাশাপাশি জনগণই তাদেরকে প্রতিহত করবে।
শনিবার বিকালে এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্স উত্তরা শহিদ মীর মুগ্ধের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই গণহত্যায় জড়িত পালিয়ে থাকা সাবেক এমপি-মন্ত্রী যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এ সময় তিনি মীর মুগ্ধ ভবন এবং এপিবিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রবেশ তোরণ উদ্বোধন করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শহিদ মীর মুগ্ধের স্মৃতি স্মরণে ভবন ও একটি গেটের তোরণ উদ্বোধন করা হলো।মুগ্ধসহ সব শহিদদের জন্য দোয়া করবেন সবাই।
অসুস্থদের চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে ডাক্তার আনা হবে।তারা যদি মনে করে চিকিৎসার জন্য আহতদের বিদেশে পাঠাতে হবে, আমরা তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে। তারা কোথায় আছেন, তারা কেন গ্রেফতার হচ্ছেন না?
জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাদের তথ্য দিন। আমাদের দায়িত্ব তাদের গ্রেফতার করা। আপনাদের দায়িত্ব আমাদের তথ্য দেওয়া। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে, আপনারাও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেন। পলাতকদের তথ্য পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আন্দোলনে খুনিদের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও মামলায় যাদের নাম আছে তাদের ব্যাপারে তিনি বলেন, আগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করত। ১০ জনের নাম থাকলেও ৫০ জনকে বেনামে মামলা দিত।এখন জনগণ বাদী হয়ে মামলা করছে। এগুলো নিয়ে তদন্ত হবে এবং তার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে অধিকতর তদন্তের ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি সেলিম মো. জাহাঙ্গীর, উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রওনক জাহান প্রমুখ।