অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্ট্রা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের ৬৬৬ কোটি টাকা পরিশোধের রায় প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট। ২৯ আগস্ট রায়টি প্রত্যাহার করে নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি এ মামলায় এক সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন। যার কারণে রায় প্রত্যাহার করে নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। নতুন বেঞ্চ ঠিক করার জন্য।

তিনি জানেন (কনিষ্ঠ বিচারপতি) গত ৬ মাস শুনেছেন। অথচ তিনি জানেন এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন। তিনি শুনতে পারেন না। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়রানির শিকার হলাম।

ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এখন জনগণের কাছে একটা ভুল বার্তা গিয়েছে যে, ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্ট্রা হওয়ার কারণে হয়তো প্রত্যাহার হয়েছে।

এর আগে পুনর্মূল্যায়নের পর পাঁচ করবর্ষের বিপরীতে ৬৬৬ কোটি টাকা প্রদেয় কর দাবির বিষয়ে কর কমিশনারের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে গ্রামীণ কল্যাণের করা পৃথক রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিষয়বস্তুর ওপর শুনানি শেষে ৪ আগস্ট বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের বেঞ্চ ওই রায় দেন। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় রায়ের পরদিন।

পুনর্মূল্যায়নের পর ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ করবর্ষের জন্য গ্রামীণ কল্যাণের কাছে প্রদেয় কর দাবি ঘিরে গ্রামীণ কল্যাণ ২০১৭ সালে পৃথক রিট করে। হাইকোর্ট প্রথমে রুল জারি করেন। পরে গত বছরের ১৭ অক্টোবর রায় দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এনবিআর গত বছর পৃথক লিভ টু আপিল করে। আপিল বিভাগ ১১ মার্চ লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টে মূল বিষয়বস্তুর ওপর শুনানির নির্দেশ দেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৪ আগস্ট রুল খারিজ করে রায় দেন।