Logo
Logo
×

সরকার

‘কৃষি সেচে জ্বালানি তেল নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে’

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৭ পিএম

‘কৃষি সেচে জ্বালানি তেল নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কৃষি সেচের জন্য জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। বিদ্যুৎ বা জ্বালানি তেলের জন্য কৃষিকাজের ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না। যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জ্বালনি তেল সংশ্লিষ্ট জেলায় চাহিদা মতো পৌঁছানোর উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী রোববার অনলাইনে কৃষিসেচ মৌসুমে (ডিসেম্বর ২০২৩ হতে মে ২০২৪) জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতিত্বকালে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন। তিনি জানান, বিদ্যুতের চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদা মোতাবেক প্রাকৃতিক গ্যাস ও ফার্নেস অয়েল সরবরাহের আগাম উদ্যোগ নিতে হবে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে পেট্রোলিয়াম পণ্যের মধ্যে ৬৭.১৯ শতাংশ ডিজেল, ১১.৯৯ শতাংশ ফার্নেস ওয়েল, ৬.৪২ শতাংশ জেডএ-১, ৬.১৯ শতাংশ পেট্রোল ও ৫.৩৬ শতাংশ অকটেন ব্যবহৃত হয়। একই অর্থ বছরে জ্বালানি তেলের ৫৮ শতাংশ পরিবহণে, ১৮ শতাংশ বিদ্যুতে, ১৫ শতাংশ কৃষিতে, ৬ শতাংশ শিল্পে, ১ শতাংশ গৃহস্থালিতে এবং অন্যান্য খাত ২ শতাংশ ব্যবহার করা হয়।

২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিসেচ মৌসুমে (ডিসেম্বর-মে) ১৯,২৯,৭৩৮ টন ডিজেল ব্যবহৃত হয়েছে। ডিজেল বাফার স্টক, তেল সরবরাহের জন্য ট্যাংক-ওয়াগন বা রেল র‌্যাক নিশ্চিতকরণ, নৌপথের নাব্য সংরক্ষণ, তেল পাচার রোধ ও নৌঘাট সংক্রান্ত রাস্তার সংস্কার, সীমান্তে তেল পাচার রোধ, জ্বালানি স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ, মনিটরিং ও সমন্বয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

কৃষিসেচ মৌসুমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকের কাছে সঠিক সময়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বর্ধিত পরিমাণ ডিজেল সরবরাহ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটর করার জন্য ১ ডিসেম্বর থেকে বিপিসির চট্টগ্রামের প্রধান কার্যালয়ে ‘কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল সেল’ খোলা হয়েছে। সেচ মৌসুম উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডিজেলের (প্রধান স্থাপনা+ইআরএল) মজুত সার্বক্ষণিকভাবে ১,৫০,০০০ টন সংরক্ষণের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ২০২৩-২৪ সালের কৃষিসেচ মৌসুমে ডিজেল ১২,৫০,৩৫৫ টন ও লুব অয়েল ৪৪,১২৩ টন প্রাক্কলিত চাহিদা রয়েছে।

ভার্চুয়াল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, আরইবির চেয়ারম্যান মোহা. সেলিম উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনন্দ্র নাথ সরকার, জননিরাপত্তা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দপ্তর প্রধান সংযুক্ত ছিলেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম