সংসদে এক এমপির সেকেন্ড হোমের তথ্য দিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
সংসদ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:১৯ পিএম
জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সদস্যের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তার সেকেন্ড হোমের তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে ওই সংসদ সদস্যের করা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রশ্নকর্তা সংসদ সদস্য বাংলাদেশের নাগরিক। তার একটি সেকেন্ড হোম রয়েছে। সেই সেকেন্ড হোম ইংল্যান্ডে।
কুইক রেন্টালসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এর আগে কোনো সরকারই বড় বড় প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এটা আওয়ামী লীগ সরকার করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, প্রশ্নকর্তার সেকেন্ড হোম ইংল্যান্ডে বিদ্যুতের দাম দেড়শ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে ইনফ্লেশন ১৩.৩ শতাংশ। সেখানে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রত্যেকটি পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা হয় এবং প্রতিটি বিল পরীক্ষা করা হয়। যে নির্দেশনা তার চাইতে এক ফোঁটা বেশি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, ফাইন করা হয়। বাংলাদেশে এখনো সে অবস্থার সৃষ্টি হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনার (স্পিকার) মাধ্যমে আমি আমার প্রশ্নকর্তাকে চ্যালেঞ্জ করছি কোথায়, কখন, কতটুকু দুর্নীতি হয়েছে- সেই কথাটা তাকে এখানে (সংসদে) স্পষ্ট বলতে হবে। প্রমাণ দিতে হবে। তার জবাব আমি এখানে দেব। একটি কথা আমি এখানে স্পষ্ট বলতে চাই, বিশ্বব্যাংকও পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিল। সেখানে কি কোনো দুর্নীতি হয়েছিল, দুর্নীতি হয়নি। তারা প্রমাণ করতে পারেনি। এটা শুধু আমার কথা না। কানাডার ফেডারেল কোর্টে যে মামলা হয় সেই রায়ে বলা হয়েছে, সকল অভিযোগে মিথ্যা, কোনো অভিযোগই সত্য নয়। সবগুলোই ভুয়া।
শেখ হাসিনা এ সময় প্রশ্ন করে বলেন, তাহলে এরা কিভাবে বলবে দুর্নীতি হচ্ছে? যদি দুর্নীতি হতো তাহলে এতো অল্প সময়ে ইতোমধ্যে এত বড় বড় প্রজেক্টের কাজ শেষ হতো কোনো দিন? এর আগে কখনো হয়েছে?
তিনি বলেন, আর এই যে কুইক রেন্টালের কথা বলা হচ্ছে- হ্যাঁ, এগুলোর প্রয়োজন ছিল। কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো এনেছিলাম বলেই বিদ্যুৎ আমরা মানুষকে দিতে পেরেছিলাম।