হুরাইন ফেব্রিক উইকে অভূতপূর্ব সাড়া

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম

দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে আয়োজিত হুরাইন ফেব্রিক উইকে প্রদর্শিত ফেব্রিক্স দেখে মুগ্ধ বিদেশি ক্রেতা, মার্চেন্ডাইজার ও ফ্যাশন ডিজাইনাররা। এবারের প্রদর্শনীতে ২০২৫ সালের বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে ব্যবহারোপযোগী নতুন ১৬৫ ধরনের ফেব্রিকের পাশাপাশি সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ডিজাইনের ফেব্রিক প্রদর্শন হচ্ছে।
বুধবার সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
প্রদর্শনীতে আগত ফ্রান্সের বায়ার কিয়াবির প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মামুনুর রশিদ মাসরুর বলেন, হুরাইনের সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে, তারা সব সময় ফেব্রিক নিয়ে গবেষণা করে। আর তাদের উদ্ভাবনগুলো চমৎকার। অন্যবারের মতো এবারও নতুন উদ্ভাবন দেখতে পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, হুরাইনের মতো অন্য ফেব্রিক উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের উচিত গবেষণার মাধ্যমে নিত্যনতুন ফেব্রিক উৎপাদনে মনোযোগী হওয়া।
দেশীয় গার্মেন্টস সিকেডিএলের ফেব্রিক টেকনোলজিস্ট মো. রায়হান বলেন, ক্রেতার চাহিদামতো দেশের অনেক টেক্সটাইল মিল ফেব্রিক উৎপাদন করছে। প্রতিটি মিল নিজস্ব উদ্ভাবন করা ফেব্রিক ক্রেতাদের কাছে উপস্থাপন করে থাকে। এ কাজটি সমন্বিতভাবে করতে পারলে সব পক্ষই উপকৃত হতো। যদি দেশের টেক্সটাইল মিলগুলোকে নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা যেত, তাহলে বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের ফেব্রিক সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতেন।
হুরাইন এইচটিএফের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম বলেন, এবারের এক্সপোতে বিদেশি ক্রেতার স্থানীয় প্রতিনিধিদের ভালো সাড়া পেয়েছি। এক কথায় বলতে গেলে, এক্সপো আয়োজনের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম, হুরাইন এইচটিএফের উদ্ভাবিত আন্তর্জাতিকমানের ফেব্রিক সম্পর্কে মার্চেন্ডাইজারদের জানাতে। মেলায় আগত সব মার্চেন্ডাইজার এক বাক্যে স্বীকার করেছেন, হুরাইনের ফেব্রিক দেশের অন্যসব টেক্সটাইল মিলের চাইতে উন্নতমানের। এছাড়াও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পেয়েছি। সেগুলোও আগামী দিনে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, হুরাইন কর্তৃপক্ষ সব সময় ফেব্রিকে নতুনত্ব আনতে চায়। এজন্য গবেষণা টিম নিরলসভাবে কাজ করছে। ম্যান মেইড ফাইবারের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বছর শেষে হুরাইন এইচটিএফ নতুন সেটআপ চালু করছে, যাতে বছরে সাড়ে ৪ মিলিয়ন গজ কাপড় উৎপাদন সম্ভব হবে।