কোচ পিটার জেমস বাটলারের সঙ্গে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিরোধ যেন ক্যালিফোর্নিয়ার ভয়াবহ আগুনে রূপ নিয়েছে। সাবিনা খাতুনরা দৃশ্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ কোচের বিরুদ্ধে। তারই জেরে অনুশীলন থেকে কার্যত নিজেদের সরিয়ে রেখেছেন সিনিয়র খেলোয়াড়রা। শনিবারও অনুশীলনে যাননি তারা। দেখেশুনে মনে হচ্ছে, দেশের নারী ফুটবলে গৃহদাহ চলছে। এদিকে সাবিনাদের অনুশীলন বর্জনকে পাত্তা না দিয়ে জুনিয়র ফুটবলারদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কাল সকালে অনুশীলন সারেন বাটলার। দুপুরে কোচের অধীনে জিম সেশন করেন

জুনিয়ররা। তারা হলেন-শাহেদা আক্তার রিপা, আফঈদা খন্দকার, আইরিন আক্তার, কোহাতি কিসকু, স্বপ্না রানী, ইয়ারজান বেগম, অর্পিতা, হালিমা আক্তার, আকলিমা, মুনকি আক্তার, প্রান্তী, সুরমা ও সুরভী আক্তার প্রীতি।

অনুশীলন শেষে কোচ বলেন, ‘পেশাদার মনোভাব নিয়ে আমি কাজ করে যাচ্ছি। যারা অনুশীলনে আসেনি তাদের নিয়ে ভাবছি না। অনূর্ধ্ব-২০ দলের খেলোয়াড়রা অনুশীলনে এসেছে। আমি আশাবাদী, সামনে তারাই দেশকে সার্ভিস দেবে।’ একথার মাধ্যমে তিনি সিনিয়র ফুটবলারদের বিকল্প তৈরির ইঙ্গিত দিলেন। বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘আমি আজও (গতকাল) নারী ফুটবলারদের অনুরোধ করেছি ফুটবল ও দেশের স্বার্থে বয়কট প্রত্যাহার করার জন্য।’

গত বৃহস্পতিবার সাবিনা খাতুনসহ ১৮ জন নারী খেলোয়াড় সাফ জানিয়ে দেন, বাটলার কোচ থাকলে তারা গণঅবসরে যাবেন। এরপরই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। মাহফুজা বলেন, ‘আজও (গতকাল) মেয়েদের সঙ্গে বসেছি। তাদের বুঝিয়েছি। সভাপতিও কাজ করছেন। তিনি এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, ভালো কিছুই হবে।’