চারবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এসেছিল আর্জেন্টিনার কিশোররা। সামনে হাতছানি ছিল প্রথমবার ফাইনালে নাম লেখানোর; কিন্তু টাইব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায় স্বপ্নভঙ্গ হলো তাদের।
মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার সুরাকার্তার মানাহান স্টেডিয়ামে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে ৩৮ বছর পর ফাইনালে নাম লিখিয়েছে জার্মানি। সবশেষ ১৯৮৫ সালে তারা ফাইনাল খেলে রানার্সআপ হয়েছিল।
নির্ধারিত সময়ের খেলা ৩-৩ গোলে সমতা নিয়ে শেষ হয়েছিল।
শুরু থেকেই আক্রমণ ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনাই। এর মধ্যে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ১০ নম্বর জার্সিধারী ক্লদিও ইচেভেরি একাই সুযোগ পেয়েছিলেন বেশ কয়েকবার। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে গোল করে বসে জার্মানি। নবম মিনিটে আর্জেন্টিনার জাল কাঁপান প্যারিস ব্রানার।
পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা শুরু করে আর্জেন্টিনা। এবারো ইচেভেরির ব্যর্থতায় সুযোগ নষ্ট হয় তাদের। তবে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়নি তাদের। ৩৬তম মিনিটে সমতা ফেরানো গোলটি করেন আগুস্তিন রুবের্তো। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে দলকে এগিয়েও দেন এই তরুণ ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে জোর দেয় জার্মানি। একের পর এক আক্রমণে তারা কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেয়েও যায়। ৫৮তম মিনিটে ব্রানার নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন। এর মিনিট দশেক পর আর্জেন্টিনাকে চাপে ফেলে দেওয়া গোলটি করেন ম্যাক্স ময়ের্সটেট। তার অবদানে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল জার্মানি।
তবে আর্জেন্টিনা হাল ছাড়েনি। যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে ব্যবধান ঘুচিয়ে দেয় তারা। দারুণ গোলে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন রুবের্তো। আসরের গোল্ডেন বুটও নিশ্চিত হয়ে যায় তার; কিন্তু শেষ হাসি হাসে জার্মানিই। টাইব্রেকারে গড়ানোর পর নিজেদের প্রথম দুই শটই মিস করে আর্জেন্টিনা; যা শেষপর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। জার্মানরা একটি শট মিস করলেও শেষ হাসি হাসে তারাই।