ক্যালশিয়াম ও ফসফরাসের মতো খনিজ এবং প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে তিলের মধ্যে। এসব খনিজ সামগ্রিকভাবে শরীরের জন্য ভালো উপকারী। ‘সিসেমি চিকেন’ হোক কিংবা ‘সুইট অ্যান্ড সাওয়ার প্রন’— পরিবেশন করার আগে পদের ওপর ছড়িয়ে দেওয়া হয় সাদা তিল। ঘরোয়া খাবার বলতে তিলের নাড়ু, খাজা কিংবা রেউড়ি। রান্নায় খুব একটা কালো তিল দেওয়ার চল নেই। তবে রূপচর্চায় কালো, সাদা— দুই ধরনের তিলের তেলই ব্যবহার করা হয়।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, তিল যেমন উপকারী, তেমন তিলের তেলেরও যথেষ্ট পুষ্টিগুণ রয়েছে। আছে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাসের মতো খনিজ। আর বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও রয়েছে তিলের মধ্যে।
তিল খেলে আর কী কী উপকার হবে, তা জেনে নিন—
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ তিল
কালো হোক বা সাদা— দুই ধরনের তিলেই ‘সিস্যামোলিন্স’ এবং ‘সেসামিন’ নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। এই দুটি উপাদান অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়।
২. হাড়ের জন্য ভালো তিল
তিলের মধ্যে যেহেতু ক্যালশিয়ামের পরিমাণ বেশি, তাই এ খাবার হাড়ের জন্যও ভালো। এ ছাড়া তিলের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস। ক্যালশিয়ামের পাশাপাশি এই দুটি খনিজও হাড়ের জোর বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। বয়সকালে হাড়ের ঘনত্ব স্বাভাবিক থাকলে অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে না।
৩. হার্ট ভালো রাখে তিল
সাদা তিলের মধ্যে এমন যৌগ থাকে, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। শীতে এমনিতেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই কোনোমতেই এই সময় কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়তে দিলে চলবে না। তাই শীতের মৌসুমে ডায়েটে তিল রাখা জরুরি।
৪. ত্বকের জন্য ভালো তিল
ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতেও তিলের তেল বিকল্প নেই। নিয়মিত তিলের তেল মাখলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের শীতকালে ভোগান্তি বাড়ে। তবে শীত আসার আগে থেকে যদি তিলের তেল মাখতে শুরু করেন তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।
৫. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে তিল
তিলে ভালো মাত্রায় ফাইবার থাকে। তিলের তেল দিয়ে রান্না করা খাবার খেলে বিপাকহার বাড়ে। ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও বেশ উপকারী তিল। যে কোনো মৌসুমি সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হয় ডায়াবেটিসদের। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী তিলের তেল।