আনারস খেলে যে মরণব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে পারেন
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম
বড় রোগের ঝুঁকি কমায় আনারস। এ মিষ্টি ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এ ছাড়া আছে ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ভিটামিন সি- যা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। আরও আছে ব্রোমেলিন। আনারস খেলে আপনার হজম ক্ষমতা হু হু করে বাড়তে থাকে। যদি আপনি প্রতিদিন একটি করে আনারস খেতে পারেন, তাহলে বাতের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আনারস খেলে আপনার বড় কোনো রোগ হওয়ার থেকে মুক্তি পাবেন। এতে ঝুঁকি কমবে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, যা খেলে আপনার আয়রন বাড়তে থাকবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকার কারণে আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন। বড় কোনো রোগের ঝুঁকি থাকবে না। তাই আজ থেকেই শুরু করুন আনারস খাওয়া।
আনারসে আপনার হজমের সমস্যা দূর করবে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ব্রোমেলিন নামক একপ্রকার যৌগ থাকে, যা খেলে আপনার হজমের সমস্যা দূর করবে। শুধু তাই নয়, আপনার যদি পেশিতে ব্যথা থাকে, সেই পেশি ব্যথা দ্রুত করতে সাহায্য করবে এক টুকরো আনারস।
এ ছাড়া অস্টিওআর্থারাইটিস কমবে। যারা বাতের সমস্যায় ভুগছেন বা হাতে প্রচণ্ড পরিমাণে ব্যথা হয়, জয়েন্ট ফুলে যায়, জয়েন্ট লাল হয়ে যায় এবং হাঁটতে-চলতে অসুবিধা হয়, তারা ব্রোমেলিনসমৃদ্ধ আনারস খেতেই পারেন।
গবেষকরা বলছেন, যে ব্যক্তি অস্টিওআর্থারাইটিসে ভোগেন, তাদের আনারস খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো। ভাইরাল সংক্রমণও ভয় পায় আনারস খেলে। যদি আপনি রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে চান, তাহলে আনারস খেতেই পারেন। কারণ বহু বছর আগে থেকে আনারস কিন্তু ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে আপনার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, ক্যানসার রোগের ঝুঁকি কমবে। গবেষণায় দেখা গেছে, যে শিশুরা আনারস খায়, তারা বড় কোনো রোগে সহজে আক্রান্ত হয় না ।
এ ছাড়া আনারস খেলে আপনার ওজন কমবে। এতে রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। আনারসে ক্যালোরির পরিমাণ নেই বললেই চলে। বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে চাইছেন, তারা নিয়মিত আনারস খেতে পারেন।
আনারস পেটের সমস্যা দূর করবে। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই পেটের যে কোনো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আনারস বেশ উপকারী। এ ফল ভিটামিন সি ও পটাশিয়ামে ভরপুর, যা আপনার হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করবে। হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে আনারস।
বি.দ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।