স্বাস্থ্যই সুখের মূল। আর সুস্থ থাকার মূল কারণই হচ্ছে— প্রোটিনজাতীয় খাবার। আমাদের শরীরের এমন কোনো অংশ নেই, যেখানে প্রোটিন নেই। কোথাও শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকা মানেই অসুস্থ শরীর। সুস্থ থাকতে শরীরের প্রতিটি কোষে প্রোটিন থাকতে হবে। তাই সব পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। শরীরে ঘাটতি পূরণে আমাদের প্রতিদিন প্রোটিন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কিন্তু যদি আপনার শরীরে প্রোটিনের অভাব থাকে, আর আপনি তা ঘুণাক্ষরেও টের না পান, তাহলেই যত সমস্যা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন হয়। এত প্রোটিন পেতে হলে পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাবার আবশ্যক।
বারবার অসুস্থ হওয়ার কারণ
বারবার অসুস্থ হওয়াও কিন্তু প্রোটিন অভাবের একটি বড় কারণ। প্রোটিনের অভাবে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে আপনি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই প্রোটিনজাতীয় খাবার খান।
আর খিটখিটে মেজাজ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রোটিনের ঘাটতির কারণে উদ্বেগ ও চাপ বৃদ্ধি পায়। এ কারণে প্রায় সময় আপনার খিটখিটে মেজাজ দেখা যায়। স্বাভাবিক কথাও অস্বাভাবিকভাবে মুখ থেকে বের হয়। এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়, কোনো কিছুতে মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ে। চিন্তা করার ক্ষমতা লোপ পায়। শরীরে রক্তের শর্করা খুব দ্রুত বাড়তে থাকে এবং কমতে থাকে। এর ফলে স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হতে শুরু করে। তাই প্রোটিনজাতীয় খাবার খান, নিজেকে স্বাভাবিক রাখুন।
শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা
আপনার শরীরের মাংসপেশি বেশিরভাগ প্রোটিন দ্বারা গঠিত হয়। তাই প্রোটিনের ঘাটতি হলে মাংসপেশিতে ব্যথা শুরু হয়। এ কারণে আপনি প্রায়ই শরীর ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। এ উপসর্গ দেখা দিলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে।
অধিক ক্ষুধা লাগা
আমাদের শরীরের প্রতিটি অংশে প্রোটিন থাকে। তাই প্রোটিনের ঘাটতি শরীরকে প্রভাবিত করে। এতে দুর্বলতা সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় আপনার ভীষণ ক্ষুধা লাগে। তাই সময়মতো প্রোটিনজাতীয় খাবার খান। আপনি যদি আটার রুটি খান, সে ক্ষেত্রে বেসন যোগ করতে পারেন। এ সময় প্রচুর পরিমাণে ডাল খান। সঙ্গে দুধ, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার, মাছ, মটরশুটি ও সয়াবিনের পরিমাণ বাড়ান। এর সঙ্গে সবুজ শাকসবজি খান। সয়াবিন ও শুকনো ফল শরীরে দ্রুত প্রোটিন বাড়াতে সাহায্য করে।