জুলাই বিপ্লবের কথা বলায় ক্ষেপে যান তারা
এবার ওয়াশিংটনে আ.লীগ নেতাকর্মীদের তোপের মুখে দূতাবাস কর্মকর্তা

নোমান সাবিত, নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৩ পিএম

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনছেন ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহসিনা জান্নাত রিমি। ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টানায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অফ কমিশন সালাউদ্দীন মাহমুদ। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় ভার্জিনিয়া রাজ্যের আর্লিংটন শহরের কেনমোর মিডল স্কুলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। ভার্জিনিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের একাধিক সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ডিসি একুশে অ্যালায়েন্স নামের একটি সংগঠনের আয়োজনে এবং ধ্রুপদের ব্যবস্থাপনায় কেনমোর মিডল স্কুলে শনিবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ২৮টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে তালিকাভুক্ত করা হয়। অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে। তিনি সরাসরি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারায় তার প্রতিনিধি হিসেবে সালাউদ্দীন মাহমুদ সেখানে পাঠান।
আলোচনা সভা চলাকালীন সালাউদ্দীন মাহমুদ তার বক্তব্যে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের
প্রসঙ্গ টানেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান।
পাশাপাশি মঞ্চে থাকা ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহসিনা জান্নাত রিমির
তোপের মুখে পড়েন এ সরকারি কর্মকর্তা। পরে মঞ্চ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন তিনি।
রিমি বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশে ছিল ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি
শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও বাংলা ভাষার গৌরবগাথা তুলে ধরা। এটি একটি অলাভজনক ও অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান
হিসেবে আগেই ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সালাউদ্দীনের বক্তব্যে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ উঠে আসায়
পরিবেশ উত্তপ্ত হয়। তিনি ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে গিয়ে ২০২৪ সালের
‘নিহত’দের জন্য নীরবতা পালন ও তাদের স্মরণ করার আহ্বান জানান। এর পরেই আওয়ামী নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে। একপর্যায়ে সালাহউদ্দীন মঞ্চ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।’