সুইস আদালতে আ.লীগ কর্মী পিয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
-67a86c717ffbe.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে সুইজারল্যান্ডে বসবাসকারী আওয়ামী লীগের অনলাইন এক্টিভিস্ট ওমি রহমান পিয়ালের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছে দেশটিতে বসবাসরত আইন পেশাজীবীদের একটি দল।
সুইজারল্যান্ডের অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আন্তর্জাতিক আইন পেশাজীবীদের একটি দল আনুষ্ঠানিক এই অভিযোগ জমা দিয়েছে। সেই সঙ্গে পিয়ালের কার্যক্রম তদন্ত করে অবিলম্বে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। খবর বাংলা আউটলুকের।
পিয়াল আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনে ১৬ বছরের স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতন হওয়ার পর থেকেই সন্ত্রাসবাদ ও হত্যার প্রচারণা ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানোর জন্য সম্পাদিত শিশু পর্নোগ্রাফি বিতরণ করছেন তিনি।
রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের হত্যার আহ্বানসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে চরমপন্থি উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন তিনি। অনলাইনে ব্যাপকভাবে প্রচারিত একটি বিবৃতিতে, পিয়াল বলেছেন, ‘আমাদের স্লোগানের সম্প্রসারণ হওয়া উচিত ভিন্নমতাবলম্বীদের হত্যা করা। তাদের প্রতিহত করতে প্রতিটি গ্রাম, প্রতিটি পাড়ায় তাদের হত্যা করাই আমাদের মিশন হওয়া উচিত।’
তার এমন বক্তব্যকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ছাত্র-জনতার মৃত্যুদণ্ডের আহ্বান হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা, পিয়ালের অমন বক্তব্যের পর বাংলাদেশে তিন ছাত্রনেতাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। যারা কিনা অনলাইনে তার বক্তব্য শোনে প্রভাবিত হয়েছেন, বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
জাতিসংঘের গ্লোবাল কাউন্টার-টেররিজম স্ট্র্যাটেজি এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির (ICCPR) অনুচ্ছেদ ২০ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনের অধীনে, সহিংসতা এবং সন্ত্রাসবাদের প্ররোচনা একটি বিচারযোগ্য অপরাধ। যে কারণে পিয়ালের বিরুদ্ধে সুইস আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন তারা। সেই সঙ্গে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তাছাড়া সুইস কর্তৃপক্ষকে পিয়ালের আশ্রয়ের অবস্থানও পর্যালোচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে অভিযোগে। কেননা, তার আচরণ ১৯৫১ শরণার্থী কনভেনশনের অধীনে আশ্রয় সুরক্ষার নীতি লঙ্ঘন করে। যা আশ্রয়প্রার্থীদের অপরাধমূলক কার্যকলাপ বা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ কর্মে জড়িত হতে নিষিদ্ধ করে।