মালয়েশিয়ায় ইন্দোনেশিয়াকে টপকে শীর্ষে বাংলাদেশ
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া থেকে
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম
![মালয়েশিয়ায় ইন্দোনেশিয়াকে টপকে শীর্ষে বাংলাদেশ](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/06/Malaysia-67a4e5a19e118.jpg)
মালয়েশিয়ায় কর্মরত বিদেশি কর্মীদের মধ্যে বাংলাদেশি কর্মীদের সংখ্যা ৮ লাখ ৯৮ হাজার। মালয়েশিয়াতে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যায় বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে অধিক শ্রম, কর্মদক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার দেওয়ান রাকায়াত (সংসদে) প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম।
দেশটির জাতীয় দৈনিক মালয় মেইল বলছে, সংসদে সিম বলেন, বর্তমানে ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭০ জন বাংলাদেশি কর্মী বৈধভাবে মালয়েশিয়াতে কর্মরত সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া; যাদের সংখ্যা ৫ লাখ ৮২ হাজার ১০৮ জন, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপাল ৩ লাখ ৭০ হাজার ১২৭ জন কর্মী রয়েছেন।
সংসদে জামাল উদ্দিন ইয়াহিয়া (সংসদ সদস্যের) প্রশ্নের জবাবে মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় মোট অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা ২৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪২২ জন, যা দেশটির মোট কর্মীর ১৪ শতাংশ।
মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শ্রমবাজার। সরকারের নীতিতে নির্ধারিত বিদেশি কর্মীর সংখ্যা ১৫ শতাংশ অতিক্রম করেনি। ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ থেকে অভিবাসী কর্মী নিয়ন্ত্রণের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তা এখনো চলমান রয়েছে।
এছাড়া শ্রম আইন ভঙ্গের অভিযোগে নিয়োগ কর্তাদের বিরুদ্ধে ৬৮৯টি অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৫২টি আদালতে তোলা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রম আইন মেনে চলছে কিনা এ নিয়ে শ্রম বিভাগ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং অভিযান পরিচালনা করে আসছে উল্লেখ করে আইন লঙ্ঘনের সুযোগ কারো নেই বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন পর্যবেক্ষণে মালয়েশিয়াজুড়ে শুধু ২০২৪ সালে ২১ হাজার ৫৭৩টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে; যার মধ্যে ৩৭৮৮টি আমলে নিয়ে নিয়োগকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে ৯৯৯১টি অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং ৯৭২৬টি অভিযোগ সমাধা করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মানবপাচার, জোর করে কর্মীদের কাজ করানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে শ্রম বিভাগ কাজ করছে উল্লেখ করে সরকার অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় সব সময় তৎপর রয়েছে।