সর্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ৩০তম শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জাপানে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলীদের বৃহৎ সংগঠন সর্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ৩০ তম শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাপানের রাজধানী টোকিও আদাছি কো সাউগাই গাকোসু সেন্টারে রোববার এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১১ টায় ধর্মীয় গাম্ভীর্যতায় পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন পুরোহিত। ভিন্ন ভিন্ন পর্বে অঞ্জলীর মাধ্যমে জ্ঞানের দেবী সরস্বতীর আরাধনা সুসম্পন্ন করার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর সব জীবের মঙ্গল কামনা করা হয়। অনেক ছোটমনিদের হাতেখড়ি পর্বে তাদের জীবনের নতুন মাইলফলক রচিত হয় দেবী সরস্বতীর ওই অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মোরারজি দেশাই বর্মণ। তার পরিবারসহ উপস্থিতি ও অঞ্জলীতে অংশগ্রহণ এবারের উৎসটিকে ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছে যা সত্যিই প্রশংসনীয় হয়েছে জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটিতে।
আয়োজকরা জানান, দেবীর বাণী অর্চনা ও বিদ্যা দেবী সরস্বতীর পূজা একটি মহোৎসব, যেখানে শিক্ষা, বিজ্ঞান ও শিল্পের উন্নতির জন্য প্রার্থনা করা হয়। প্রতিবারের মতো এবারও সরস্বতী পূজায় জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মত। সনাতনীদের পাশাপাশি জাপানের বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি যেন এবারের পূজাকে ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছে। বাঙালি কমিউনিটির একত্রে মিলিত হওয়ার সময়টি মনে হয়েছিল জাপানের মাটিতে এক টুকরো বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সর্বজনীন পূজা কমিটি জাপানের সভাপতি শ্রী বিপ্লব মল্লিক। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শ্রী অঞ্জন দাস। সরস্বতী পূজার মহত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা শ্রী সুখেন ব্রহ্ম। উপদেষ্টা পরিষদের সম্মানিত উপদেষ্টা, শ্রী বিমান কুমার পোদ্দার ও সহসভাপতি কিশোরে পালও এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
জাপানে সনাতনীদের মন্দির প্রতিষ্ঠার বর্তমান অগ্রগতি ও করনীয় সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন উপদেষ্টা ড. বিজন কুমার মিত্র। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সর্বজনীন পূজা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ড. প্রদীপ কুমার রায়।
আলোচনা পর্বের পর শুরু হয় বরাবরের মত আকর্ষণীয় পর্ব ভক্তিমূলক সঙ্গীত দিয়ে। সঙ্গীতানুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় গান, নৃত্য, ও কবিতা আবৃত্তি। উত্তরণ শিল্পীগোষ্ঠি এবারও তাদের মনোমুগ্ধকর জমকালো পরিবেশনায় সঙ্গীতানুষ্ঠানটির পরিপূর্ণতা এনে দেয়।
সন্ধ্যা আরতি শেষে সবার মাঝে ফলমুল ও মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে সারাদিনের মিলনমেলার পরিসমাপ্তি টানে।