Logo
Logo
×

পরবাস

নিউইয়র্কে চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ

Icon

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম

নিউইয়র্কে চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রে চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচনি চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। তিন কেন্দ্রে ৬টি আপত্তিকর ভোট নিয়ে ফল ঘোষণায় যে জটিলতা দেখা দিয়েছিল, গত ৪ দিনে সেই সমস্যার সমাধান করে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার। ফলে আবু তাহের সভাপতি এবং একই পরিষদের আরিফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ফল ঘোষণায় ব্যাপক কারচুরি করা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মাকসুদ-মাসুদ পরিষদ। তারা ফলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। 

গত ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী দুই হাজার ভোটার তাদের রায় প্রদান করেন। ব্রুকলিন, জামাইকা, স্টাম্পফোর্ড (কানেকটিকাট) ও ফিলাডেলফিয়া মোট চারটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১৯ পদের জন্য দুটি প্যানেলে ৩৯ প্রার্থী এবারের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯ পদের মধ্যে তাহের-আরিফ পরিষদের ৯ জন এবং মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের ১০ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার শেখ এম খালিদ, কমিশনার সাহাব উদ্দিন সাগর, মোহাম্মদ এ হান্নান চৌধুরী, মোহাম্মদ সালিম ও রুহুল আমিন। 

এদিকে দায়িত্বে অবহেলাসহ ভোট কারচুপির ব্যাপক অভিযোগ তুলেছেন মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের সভাপতি প্রার্থী মাকসুদুল এইচ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ফল মেনে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। নির্বাচনের চার দিন পর তথাকথিত চ্যালেঞ্জ ভোট যোগ করে ফল দিয়েছে। চ্যালেঞ্জ ভোট গণনার সময় আমার পরিষদকে জানানো হয়নি। এ ফল পূর্ব পরিকল্পিত। নির্বাচন কমিশন সশরীরে ভোটারের ঘরে গিয়ে স্বাক্ষর পরিবর্তন করে এই ফল তৈরি করেছে। তাহের প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির লোকজনদের নিয়ে। হানিফ, আজম, শমশু নির্বাচন কমিশন সেলিম হারুনের অফিসে বসে এই ফল তৈরি করেছে, যা আজম জ্যাকসন হাইটসে অনেক মানুষের সামনেই বলেছে বলে উল্লেখ করেন মাকসুদ। 

তিনি বলেন, এ ফল কখনো বাস্তবায়ন করতে পারবে না নির্বাচন কমিশন। চট্টগ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

নির্বাচন কমিশনারদের পরিকল্পিত ফলে তাহের-আরিফ পরিষদের বিজয়ীরা হলেন— আবু তাহের (সভাপতি), আরিফুল ইসলাম (সাধারণ সম্পাদক), শফিকুল আলম (কোষাধ্যক্ষ), নুরুল আমিন (সহ-কোষাধ্যক্ষ), অজয় প্রসাদ তালুকদার (দপ্তর সম্পাদক), ইমরুল কায়সার (সহ-দপ্তর সম্পাদক), এনামুল হক চৌধুরী (শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক), জাবের শফি (প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক) ও মোহাম্মদ ঈশা (ক্রীড়া সম্পাদক)। মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের নির্বাচিত প্রার্থীরা হলেন— মুক্তাদির বিল্লাহ (সিনিয়র সহসভাপতি), আলী আকবর বাপ্পী (সহসভাপতি), আইয়ুব আনছারী (সহসভাপতি), ইকবাল হোসেন ভুঁইয়া (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), হারুন মিয়া সহসাধারণ সম্পাদক), মোহাম্মদ ফরহাদ (সাংগঠনিক সম্পাদক), আকতারুল আজম (সমাজকল্যাণ সম্পাদক) কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন— নুরুস সোফা, শাহ আলম ও শওকত আলী।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম