সিডনিতে জাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক মিলনমেলা
পরবাস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৭ পিএম
‘পরিযায়ী পাখির মত আমরা ফিরে ফিরে আসি আমাদের অভয়াশ্রমে। জন্মাতে চাই অতীত সময়ের গর্ভে, ২য় জন্মের আতুড়ঘরে---জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ’
পরিযায়ী পাখির ন্যায় ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক সাবেক শিক্ষার্থী উড়ে এসেছিল ওয়েস্টার্ন সিডনীর Plough and Harrow, Western Sydney Parklands-এ। প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে দিনভর 'বনভোজন' এর আড়ালে এই মিলনমেলায় অংশ নিয়েছিল সিডনী, ক্যানবেরা, মেলবোর্ন নিউক্যাসেল, ওলুংগংসহ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে বার্ষিক এই বনভোজনের আয়োজন করা হয়।
সকাল ১০টায় বনভোজন ওয়েস্টার্ন সিডনীর ফেয়ারফিল্ড কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রনাধীন পার্কল্যান্ড অঙ্গন অ্যালামনাইদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। শুরুতেই পরিবেশন করা হয় মোঘলাই প্রতরাশ ও মালাই চা। একে একে অনুষ্ঠিত হয় অ্যালামনাইদের সদস্যদের সন্তানদের চকলেট দৌড়, নারীদের পিলো পাসিং, পুরুষদের বেলুন পপিং গেইম।
বেলা ১১ টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক রাসেল ইকবাল ও প্রত্যাশা ইকবালের তত্ত্বাবধানে পার্কল্যান্ড প্রাঙ্গনজুড়ে গড়ে তোলা হয় ডেইরী প্রধান গেইট, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া, চৌরঙ্গী ও প্রান্তিক গেইট। ছিল অফুরন্ত শীতল কোমল পানীয়, গরম চা, কেক, রসগোল্লা, ঝালমুড়ির আয়োজন।
আড্ডা পাগল জাবিয়ানদের স্মরণকালের মধ্যে বৃহত্তম এই আউটডোর সমাবেশের কাছে ঘড়ির কাটাও হার মানে। পার্ক কর্তৃপক্ষ যখন মূল গেইট বন্ধের উদ্যোগ নেয় তখন সবার সংবেদন হয় ঘরে ফেরার।
বনভোজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ১৯ তম ব্যাচের তাহমিনা বীনা ও ২২ তম ব্যাচের মিকন মোব্শ্বের। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি সাইফ সাকান্দার রাফায়েল, সাবেক আহবায়ক ৮ম ব্যাচের খালেদা কায়সার মিনি প্রমুখ।