দক্ষ জনশক্তি নিয়োগে প্রথমবারের মতো কুয়েতের সঙ্গে জিটুজি (সরকারের সঙ্গে সরকারের) চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান। এ চুক্তির ফলে শিগগিরই দেশটিতে নার্সসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে ৩১ মে চুক্তি সই হয়। জানা যায়, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কুয়েতে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন, নতুন করে তৈরি হচ্ছে রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ ও হাসপাতাল। এসব কাজে দেশটির শ্রম বাজারে জনশক্তির চাহিদা বেড়েই চলেছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজছে দূতাবাস। গত বছর থেকে নার্স নিয়োগের মধ্য দিয়ে কুয়েতে দক্ষ জনশক্তির দ্বার খুলেছে। তারা কুয়েতের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বছর যেতে না যেতেই নতুন করে যোগ হয়েছে জিটুজি চুক্তি।
সংবাদ সম্মেলনে আশিকুজ্জামান বলেন, কুয়েতের শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য খুবই সম্ভবনাময় একটি খাত। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে কুয়েতে আসতে পারবেন নার্স ও টেকনিশিয়ানরা। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর ৩১ মে প্রথমবারের মতো কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের জিটুজি চুক্তি সই হলো। কুয়েতে বর্তমানে ২ লাখ ৬০ হাজার বাংলাদেশির বসবাস। তবে অনেকের পেশাগত প্রশিক্ষণ তেমন নেই। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, শ্রমিকদের সঠিক প্রশিক্ষণ দিতে পারলে কুয়েতের বাজার দখল করতে পারবে বাংলাদেশ। আর এতে দেশে বাড়বে রেমিট্যান্সপ্রবাহ।