কানাডায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালিত
রাজীব আহসান, কানাডা থেকে
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২০, ০৩:০২ এএম
কানাডার অটোয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার এ জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়।
অন্যদিকে তাদের সুযোগ্য সন্তান শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অটোয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন বিশেষ আলোচনাসভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথমেই ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী যথাক্রমে উপহাইকমিশনার চিরঞ্জীব সরকার ও কাউন্সিলর মো. সাখাওয়াৎ হোসেন পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিশনের প্রথম সচিব মিস অপর্ণা রানী পাল।
এ সময় মিশনের অন্য সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। বাণী পাঠ শেষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও শহীদ শেখ কামালের ওপর নির্মিত পৃথক দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর পর একটি বিশেষ ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কানাডাতে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ড. সৈয়দ সাজ্জাদুর রহমান, অধ্যাপক ওমর সেলিম শের, রাশেদা নেওয়াজ, মিস. মমতা দত্ত, সাংবাদিক কবির চৌধুরী, শাহ বাহাউদ্দিন শিশির, রিয়াজ-উজ জামান ও হাসান জামান অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই হাইকমিশনার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
হাইকমিশনার বলেন, ইতিহাসে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেবল একজন সাবেক রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিণীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে অন্যতম এক নেপথ্য অনুপ্রেরণাদাত্রী। বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন প্রাণপ্রিয় স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শহীদ শেখ কামালসহ পরিবারের নিহত সব সদস্যের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।