চরম আতঙ্ক ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে লেবানন প্রবাসী বাংলাদেশিরা
ওয়াসীম আকরাম, লেবানন থেকে
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:১২ পিএম
লেবাননে সরকার বিরোধী আন্দোলন গত তিন সপ্তাহ পার হলেও এখনো সমাধানের কোন পথ মেলেনি। লেবাননের রাজনীতির গতিপথ কোনদিকে মোড় নেবে তাও অনিশ্চিত। লেবাননে সরকার বিরোধী আন্দোলনের কারণে চরম আতঙ্ক, হতাশা ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে লেবানন অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
এদিকে লেবাননের অবৈধ বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেশে ফেরত যাওয়ার নাম নিবন্ধনের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আন্দোলনের কারণে তা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট সময়ে তা শেষ করা যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছে দূতাবাস।
৮ নভেম্বর শুক্রবার বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক স্টাটাসে দেয়া একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে দূতাবাস জানায়, লেবাননে ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সরকার বিরোধী গণআন্দোলনের কারণে লেবাননের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আাদালত, ব্যাংক বীমাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ ৩-৪ সপ্তাহ যাবৎ প্রায় পুরোপুরি বন্ধ ছিল।
এ সময় কোথাও কোন কাজ হয়নি। বর্তমানে বিভিন্ন অফিস-আাদালত চালু হলেও কাজের গতি অত্যন্ত মন্থর। ফলে বাস্তব কারণেই এ সময় বিশেষ কর্মসূচীর আওতায় অবৈধদের দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য দূতাবাসের কাজেও তেমন একটা অগ্রগতি হয়নি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই অবৈধদের দেশে প্রেরণসহ দূতাবাসের সকল কাজ কিছুটা পিছিয়ে যাবে। তবে দূতাবাস প্রবাসীদেরকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর নিশ্চয়তা দিচ্ছেঃ
ইতিপূর্বে দূতাবাসে যারা নাম নিবন্ধন করেছে তাদের পূর্বের শর্ত অনুযায়ী দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে এবং দ্বিতীয় ধাপে নভেম্বর ও ডিসেম্বরের যে নাম নেয়ার কথা ছিল তা পিছিয়ে ডিসেম্বর অথবা-জানুয়ারিতে শুরু করা হবে।
অবৈধদের বৈধকরণ যে প্রক্রিয়াটি হাতে নেয়া হয়েছিল তা বিলম্ব হলেও বাস্তবায়ন করা হবে এবং বাংলাদেশ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর ডিজিটাল পাসপোর্টধারী যাদের পাসপোর্ট কফিলের কাছে রয়ে গেছে তাদের নতুন পাসপোর্ট দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়া গুরুতর অসুস্থ্য রোগীদের বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসা প্রদান ও দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে লেবাননের বর্তমান অবস্থার কথা বিবেচনা করে প্রবাসীদেকে ধৈর্য্য ধারণ করে অপেক্ষা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।