স্টাফ শাহিনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে কুয়েত দূতাবাস
সাদেক রিপন, কুয়েত থেকে
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৪:০৭ এএম
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে দূতাবাসের স্টাফ শাহিনের অসৌজন্যমূলক আচরণে শিকার হন দূতাবাসে আসা ব্রাক্ষণবাড়িয়া আজিজুল আকরাম নামে এক প্রবাসী।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমার সাড়ে ৩ বছর দ্বায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে এ ধরণের ঘটনা আমার নজরে আসেনি। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। দায়ী স্টাফের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
আগামীতে দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তা বা স্টাফ প্রবাসীদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করলে তার বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদূত। তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে উত্তম থেকে উত্তম সেবা প্রদান করা হবে বলেও জানান। কুয়েতের মিসিলায় স্থানান্তরিত নতুন দূতাবাস ভবনে ২ সেপ্টেম্বর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে দূতাবাস ভবনের প্রথম তলায় মসজিদ খানা সামনে বসে থাকলে ওই যুবককে বের হয়ে নিচে অপেক্ষা করতে বললে দুইজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
এক পর্যায়ে ওই যুবকের কাগজপত্র ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়। এ রকম অসৌজন্যমূলক আচরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে বিভিন্ন গ্রুপ পেইজে শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়। দূতাবাসের স্টাফরা প্রায় সময় নানা ধরণের অসাদাচারণমূলক আচরণের শিকার হয় প্রবাসীরা।
অনেক সময় অভিযোগ দিলেও কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেয়ায় এ ধরণের ঘটনা বারবার পুনরাবৃত্তি ঘটছে প্রবাসীদের সঙ্গে। এবিষয়ে কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানান, সে একজন দূতাবাসে স্টাফ হয়ে প্রবাসীর সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারে না। তাই আমরা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ দূতাবাস নতুন জায়গায় স্থানান্তরিত হয়েছে। নতুন ভবনের কাজ এখনো পুরপুরিভাবে সম্পন্ন হয়নি। সবার প্রতি আমার একটা অনুরোধ বাংলাদেশের ভাবমুর্তি রক্ষা হয় এবং বিদেশের মাটিতে দেশের বদনাম যাতে না হয় এবিষয়ে খেয়াল রাখবেন। দূতাবাসে সেবা নিতে আসা এক প্রবাসী বলেন, আমরা প্রবাসীরা অনেক কষ্ট করি।
আমরা যখন কোনো কাজে দূতাবাসে আসি দেশের পতাকা দেখলে মনটা আনন্দে ভরে যায়। মনে হয় আমরা আমাদের দেশে এসেছি আমাদের নিজস্ব জায়গায় এসেছি। এখানে আসার পর যখন দূতাবাসে কেউ দুর্ব্যবহার করে এটা আসলে অনেক দু:খজনক আমরা অনেক কষ্ট পাই। এবিষয়ে তদন্ত করে যৌক্তিক শাস্তির দাবি জানান প্রবাসীরা।