ড. আতাউল করিমের ভাসমান ট্রেন। ছবি: সংগৃহীত
ভাসমান ট্রেন আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি পদার্থবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আতাউল করিম। ট্রেনটি চলার সময় ভূমিতে স্পর্শ করবে না।
১৯৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালেও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে প্রায়ই বাংলাদেশে আসেন।
২০০৪ সালে ভাসমান ট্রেনের প্রকল্প হাতে নেন আতাউল করিম। ট্রেনটির প্রোটোটাইপ তৈরি করতে তার সময় লাগে দেড় বছর।
আতাউল করিমের আবিষ্কৃত ট্রেনটি বিশ্বের নামকরা বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। তবে ট্রেনটি এখনও বাণিজ্যিকভাবে নির্মিত হয়নি। তবে বিভিন্ন দেশ বাণিজ্যিকভাবে ট্রেনটি উৎপাদনের চিন্তা করছে।
আতাউল করিমের আবিষ্কৃত এই ট্রেনটি চুম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সাবলীলভাবে চলবে। জার্মানি, চীন ও জাপানে ১৫০ মাইলের বেশি গতির ট্রেনে প্রতি মাইল ট্র্যাক বসানোর জন্য গড়ে খরচ পড়ে ১১ কোটি ডলার, যেখানে এই ভাসমান ট্রেনে খরচ হবে মাত্র ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ ডলার।
আতাউল করিম ১৯৫৩ সালের ৪ মে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন ডাক্তার।
আতাউল করিম ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে বিএসসি (সম্মান) পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
ভর্তি হন সেখানকার আলবামা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ১৯৭৮ সালে পদার্থবিদ্যায় এবং ১৯৭৯ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর লাভ করেন।
একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
আতাউল করিম ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস রাজ্যের রাজধানী লিটিল রকের ইউনিভার্সিটি অব আরকানসাসে শিক্ষকতা শুরু করেন।
বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া রাজ্যের ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটি (ওডিইউ) ইন নরফোকের গবেষণা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট।