রিয়াদে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রবাসীদের মিলনমেলা
সাগর চৌধুরী, সৌদি আরব থেকে
প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ১১:০২ এএম
সৌদি আরবের রিয়াদে ৪৯তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দূতাবাসের উদ্যোগে বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, সংবর্ধনা ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। রিয়াদের হলিডে ইন হোটেলে ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় এ আয়োজন করা হয়।
এতে রিয়াদ, দাম্মাম, বুরাইদা, জুবাইল, আল-খারজসহ বিভিন্ন শহরের প্রায় পাঁচ শতাধিক অভিবাসী বাংলাদেশি যোগদান করেন।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ ও তার সহধর্মিণী সৈয়দা গুল-এ-আরজুসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা স্বাধীনতা দিবসের কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, তাই এর মর্যাদা সমুন্নত রাখা সব বাংলাদেশির দায়িত্ব। তিনি এ সময় গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল।
স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ বীর শহীদ, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবে বসবাসরত ২১ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদের কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত হয়েছে এব বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন- আগামী দিনে সৌদি আরবের সঙ্গে ব্যবসা, বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের সৌদি আরবের আইন-কানুন মেনে সৎ ও আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান, যাতে প্রবাসে বাংলাদেশিদের সুনাম বৃদ্ধি পায়। তিনি বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার জন্য সব অভিবাসীকে আহ্বান জানান।
দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান ড. ফরিদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন সাংবাদিক অহিদুল ইসলাম, ইমরান, শাহানা চৌধুরী পপি, জামশেদ রানা, তানজিলা আক্তার নিমা, অমল দাস, বাবুল চৌধুরী, শেমুষী ও আদৃত। স্বাধীনতার কবিতা আবৃত্তি করেন রুচিরা সুলতানা ও ফখরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আগত বাংলাদেশি অভিবাসীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং এ রকম অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রদূতকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। নৈশভোজের মাধ্যমে বর্ণাঢ্য আয়োজনের সমাপ্তি হয়।