কয়েকদিন প্রচুর বৃষ্টির সম্ভাবনা, এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দেশনা
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০২:৫৫ পিএম
সিলেট বাদে সব বোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আজ সকালে শুরু হয়েছে। সকালে রাজধানীতে ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। আর এতে বিপাকে পড়েছেন প্রথম দিনের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া লাখ লাখ শিক্ষার্থী। সঙ্গে তাদের অভিভাবকরাও পড়েছেন সন্তানদের নিয়ে বিড়ম্বনায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৩ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এ সময়ের মধ্যে রংপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির কারণে কেন্দ্রে পৌঁছাতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। এ কারণে বৃষ্টির সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
রোববার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় যে, আগামী কয়েকদিন প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষার দিনগুলোতে বৃষ্টি থাকলে প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেন্দ্রের মূল ফটক খুলে দিয়ে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, অনিবার্য কারণে কোনো কেন্দ্রের পরীক্ষা শুরু করতে আধাঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা দেরি হলে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় সেই আধাঘণ্টা বা এক ঘণ্টা সময় সমন্বয় করে পরীক্ষা শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।
এদিকে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ পরীক্ষার্থী বৃষ্টি ও যানজটের কারণে দেরিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেছেন। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ভেজা শরীরে তিন ঘণ্টার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।