প্রতি বছরের ন্যায় যথারীতি ৮ মার্চ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
প্রতিটি নারী দিবসেই নতুন থিম বা প্রতিপাদ্য রাখা হয়। এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য– ‘আমি সমলিঙ্গের প্রতীক: নারীর সমস্ত অধিকার নিয়ে জন্মেছি।’
এতে বোঝানো হয়েছে, সব নারীর উচিত তাদের অধিকার রক্ষা করা। নিজের অধিকারের জন্য সোচ্চার হওয়া, অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে লিঙ্গ সাম্যতা অরক্ষিত সেখানে আওয়াজ তোলা।
অনেকেরই প্রশ্ন– আলাদা করে নারী দিবস পালনের কি উদ্দেশ্য?
জবাবে বলা যায়, নারী সম্পর্কে সমাজকে সচেতন করতেই এই দিবসে উদ্দেশ্য। সমাজের সবস্তরে নারীর সাফল্য ও জয়গান গাওয়ার দিন নারী দিবস।
সে জবাবের পরই প্রশ্ন আসতে পারে– কীভাবে আর কোন পটভূমিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস শুরু হয়েছিল?
জানা যায়, ৮ মার্চ নয়, ১৯০৯ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো নারী দিবস পালিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ দিবসটি পালন করা হয়।
ইতিহাস বলছে, আমেরিকার সোশ্যালিস্ট পার্টি পোশাক তৈরির শ্রমিকদের সম্মান জানাতে ১৯০৮ সালে ধর্মঘট ডেকেছিল। তাদের প্রতি সম্মান জানাতে ২৮ ফেব্রুয়ারিকে বেছে নেয়া হয়েছিল। ১৯০৯ সালে নিউইয়র্কের সোশ্যালিস্ট পার্টি রাজনৈতিকভাবে প্রথম নারী দিবস পালন করে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়ার নারী শ্রমিকরা ২৮ ফেব্রুয়ারি নারী দিবস উদযাপনের সময় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
এর কয়েক বছর পর ৮ মার্চ ইউরোপের নারীরা শান্তিরক্ষা কমিটির কর্মীদের সমর্থনে এক সমাবেশের আয়োজন করেন। ১৯১৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ৮ মার্চ জাতীয় ছুটি ঘোষণা করে।
এর পর ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে নারী দিবস হিসেবে পালনের দিন ধার্য করে জাতিসংঘ। এর পর থেকেই বিশ্বব্যাপী এই দিনটিতে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটিতে নারীদের বাড়িতে বা অফিসে বিশেষ উপহার দেয়া হয়। হাতে তুলে দেয়া হয় গোলাপ, উপহার এবং চকোলেট। অনেক অফিস পার্টিও দেয়। কিছু অফিসে এই দিন হাফডে ছুটিও থাকে নারী কর্মীদের।