পুতিনের হাত থেকে ইউক্রেনকে রক্ষায় ৪ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৩:০২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও রাশিয়ার হাত থেকে ইউক্রেনকে রক্ষায় চার দফা কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। লন্ডনে ১৮ নেতার এক সম্মেলনের পরে স্টারমার বলেছেন, ‘আমরা আজ ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে। ’ খবর বিবিসির।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় অন্য নেতারাও এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি ‘শক্তিশালী সমর্থন’ অনুভব করছেন এবং এই সম্মেলনে ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের ইউরোপীয় ঐক্য দেখা গেছে, যা অনেক দিন ধরে দেখা যায়নি’।
সম্মেলনের পর সংবাদ সম্মেলনে কিয়ার স্টারমার চারটি বিষয়ে সবার একমত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন। আর তা হচ্ছে— ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখা ও রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানো। যেকোনও শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা এবং যে কোনও আলোচনায় ইউক্রেনের অংশ নেওয়া। শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সামর্থ্য বাড়ানো যাতে ভবিষ্যতে যে কোনও আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে পারে। আর ইউক্রেনের নিরাপত্তায় জোট গঠন এবং এর পরবর্তী শান্তি নিশ্চিত করা।
কিয়ার স্টারমার একই সঙ্গে পাঁচ হাজার আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য অতিরিক্ত দুই বিলিয়ন ডলারের সহায়তার কথাও ঘোষণা করেন। এর আগে রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদের মুনাফা থেকে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ডের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য।
ইউক্রেনের সুরক্ষায় প্রস্তাবিত জোট বা ‘কোয়ালিশন অফ উইলিং’- যোগ দিতে কোন কোন দেশ সম্মত হয়েছে তা তিনি জানাননি। তবে তিনি বলেছেন, যারা অঙ্গীকার করেছেন তারা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করবেন। যুক্তরাজ্য তার অঙ্গীকার রক্ষা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ইউরোপকে অবশ্যই বড় অগ্রগতি অর্জন করতে হবে। এই সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন হবে এবং রাশিয়াকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে মস্কোকে কোনও শর্ত নির্ধারণের সুযোগ দেওয়া হবে না।
স্টারমার বলেন, ‘আমরা ট্রাম্পের সঙ্গে জরুরি শান্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছি। এখন সবার একযোগে কাজ করার পালা”। ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র অবিশ্বস্ত কোনও সহযোগী কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: “গত শুক্রবার যা ঘটেছে সেটি কেউ দেখতে চায়নি। কিন্তু আমি মনে করি না যে— যুক্তরাষ্ট্র অবিশ্বস্ত সহযোগী।’
সম্মেলনে যেসব দেশ যোগ দিয়েছে সেগুলো— ফ্রান্স, পোল্যান্ড, সুইডেন, তুরস্ক, নরওয়ে, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া, ফিনল্যান্ড, ইতালি, স্পেন ও কানাডা।