ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পকে কঠিন শর্ত দিবেন পুতিন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ পিএম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত মস্কো। তবে যুদ্ধ থামাতে কঠিন শর্ত জুড়ে দিয়েছেন তিনি।
ক্রেমলিনের পাঁচজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের দখল করা ভূখণ্ড জমি ছাড়বে না রাশিয়া এবং কিয়েভকে ন্যাটো জোটে যোগ দেওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা পরিত্যাগ করতে হবে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিজিয়া এবং খেরসনের বহু জায়গা দখল করে রেখেছে রুশ বাহিনী। এছাড়া কুরস্ক অঞ্চলেও সংঘাত চলছে।
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের ক্ষেত্রে পুতিন এসব জায়গা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তত তিন রুশ কর্মকর্তা এমন তথ্য দিয়েছেন রয়টার্সকে।
ইউক্রেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তি করার কথা উঠলে সব সময়ই লক্ষ করা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বলে থাকে—‘এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’ কিন্তু পুতিনের হুমকি থাকায় বাস্তবে তা কিন্তু হচ্ছে না।
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে। এমন একটি মুহূর্তে ইউক্রেনকে সদস্য করা হলে অবধারিতভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে ন্যাটো। সেক্ষেত্রে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত সর্বাত্মক রূপ ধারণ করবে।
এমন পরিস্থিতিতে এখন যা অবস্থা, রাশিয়ার শর্ত মেনে নিয়েই ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে হবে। আর সেটা হলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সর্বস্ব হারানোর মতো অবস্থা তৈরি হবে।
কারণ জেলেনস্কি রুশ আক্রমনের শুরু থেকে ন্যাটো জোটে যোগ দিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান। আর এখন পুতিনের কথায় ট্রাম্প যদি এসব শর্ত মেনে নেয়, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় পরাজয় ঘটবে কিয়েভের।
এদিকে জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে ইউক্রেনকে আরো সহায়তা পাঠাচ্ছে বিদায়ী জো বাইডেন প্রশাসন। এরইমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে কিয়েভ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মনুষ্যবিহীন মাইন সরবরাহও করেছে ওয়াশিংটন। এতে রুশ-মার্কিন উত্তেজনা বেড়েছে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
দ্য কিয়েভ ইনডিপেন্ডেন্টের মতে, বর্তমানে ইউক্রেনের ১৮ ভাগ জায়গা দখল করে আছে রাশিয়া। সব মিলিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনের ভূখণ্ডের ১ লাখ ১০ হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি দখল করেছে এখন পর্যন্ত।