সাংবাদিকদের সঙ্গে এনবিএমইজিএফের ইফতার মাহফিল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৪০ পিএম
অনলাইনে বিনামূল্যে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ প্ল্যাটফর্ম ‘নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন’ (এনবিএমইজিএফ)-এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানির একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সোমবার প্রথমবারের মতো ইফতার মাহফিল আয়োজন করেন ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ইকবাল বাহার জাহিদ। এ আয়োজনে দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক, লেখক ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইফতার মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এনবিএমইজিফের প্রতিষ্ঠাতা, মেন্টর ইকবাল বাহার। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা, সফল উদ্যোক্তা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ সময় একটি অডিও ভিজ্যুয়ালের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ফাউন্ডেশনটি কিভাবে কাজ করে আসছে তার কিছু অংশ দেখানো হয়।
ইকবাল বাহার বলেন, ২০১৮ সালে ফেসবুকভিত্তিক কমিউনিটি গ্রুপ থেকে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম। বর্তমানে এটিই উদ্যোক্তা তৈরির সেরা প্রশিক্ষণ প্ল্যাটফর্ম। এনবিএমইজিফ বাংলাদেশের একমাত্র অলাভজনক ফাউন্ডেশন যেখানে ‘প্রতিদিন’ উদ্যোক্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বিনামূল্যে। মাত্র ৫ বছরে প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রায় সাত লাখ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন ইকবাল বাহার।
তিনি আরও বলেন, ‘নিজের বলার মতো একটা গল্প’ ফাউন্ডেশনে প্রশিক্ষণ নিয়ে ইতোমধ্যে বদলে গেছে লাখো তরুণ-তরুণীর জীবন। ‘চাকরি করব না চাকরি দিব’-এই ব্রত নিয়ে আমি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম এনবিএমইজিএফ। আমার ছাত্ররা এখন উদ্যোগ নিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানে অন্যদের চাকরি দিচ্ছে।
এনবিএমইজিএফ এখন শুধু উদ্যোক্তা তৈরিতেই সীমাবদ্ধ নেই বরং আমাদের প্রশিক্ষিত প্রতিটি উদ্যোক্তা যেন সাবলিলভাবে নিজের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে সেই মেনিটরিংও করা হয়। এখন প্ল্যাটফর্মটি মার্কেটপ্লেসে রুপ নিয়েছে। যেখানে সদস্যরা কোনো বিপণন খরচ ছাড়াই লাখ লাখ টাকার পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছে।
সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে ইকবাল বাহার জানান, তিনি তার কনটেন্টগুলো সবার দক্ষতায় কাজে লাগাতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি অচিরেই ইনস্টিটিউশনাল ফর্মে নিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, আমি স্বপ্ন দেখি দেশে একটি উদ্যোক্তা স্কুল প্রতিষ্ঠার। যা আগামী ৫ বছরের মধ্যে গড়ে তুলব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন কারো অনুদান নেয় না। নিজেদের চাঁদায় চলে। স্পন্সরও করতে পারে কেবল সদস্যরাই। তাই এই ফাউন্ডেশনটি অনেকটাই ব্যতিক্রম।